নিজস্ব প্রতিবেদক : সংবিধানে সকল নাগরিকের জন্য সুযোগের সমতা বিধান নিশ্চিত করার পাশাপাশি এসডিজি অর্জনে পানি ও স্যানিটেশন খাতকে পৃথকভাবে গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন।
শনিবার রাজধানীর শেওড়াপাড়াস্থ বেসরকারি সংস্থা ‘ডরপ’ এর সভাকক্ষে ‘পানি ও স্যনিটেশন অধিকার : সহজ পাঠ’ শিরোনামের গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।
তারা বলেন, ‘শহরের জন্য পানি ও স্যানিটেশন খাতে জন প্রতি বরাদ্দ ৯০০ টাকা। অথচ চরবাসীর জন্য জন প্রতি ১১ এবং পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর জন্য ২২ টাকা, উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর জন্য ২০০ টাকা বরাদ্দ। বিদ্যমান এ বৈষম্য পানি ও স্যানিটেশন সেক্টরের উন্নয়নে সবচেয়ে বড় বাধা।’
তারা আরো বলেন, ‘পিছিয়ে পড়া পার্বত্য, চর, হাওর, উপকূল, নদী ভাঙা ও চা বাগান এলাকাগুলোতে স্যানিটেশনের উন্নয়নে আরো কাজ করতে হবে। পাশাপাশি টেকসই প্রযুক্তির স্যানিটেশন ব্যবস্থা গড়ার দিকে জোর দিতে হবে। পানি ও স্যানিটেশন খাতে বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধির পাশাপাশি বরাদ্দকৃত বাজেট সঠিক সময়ে মাঠ পর্যায়ে পৌঁছানো, মানসম্মত বাস্তবায়ন ও জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।’
দরিদ্র্যতা হ্রাসের পাশাপাশি আয় বাড়ানোর জন্য পানি ও স্যানিটেশনকে আলাদা খাত হিসেবে চিহ্নিত করে বাজেট বরাদ্দের মাধ্যমে সকলের অধিকার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান বক্তারা। পাশাপাশি সরকারের মাতৃত্বকালীন ভাতা ও স্বপ্ন প্যাকেজ কর্মসূচিকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাওয়ারও আহ্বান জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, গ্রামের ৮৭ শতাংশ মানুষ উন্নত উৎসের পানি সুবিধার আওতায় রয়েছে। স্যানিটেশনের অভাবে বাকিরা পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। দেশের এক শতাংশ পরিবার এখনো খোলা জায়গায় মলমূত্র ত্যাগ করছে।
ডরপের প্রতিষ্ঠাতা ও গুসি আন্তর্জাতিক শান্তি পুরস্কার বিজয়ী এএইচএম নোমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. ওয়ালী উল্লাহ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন।
এ সময় মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক শাহনেওয়াজ দিলরুবা খানম ও প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
রাইজিংবিডি/ঢাকা/৩০ জুলাই ২০১৬/হাসান/ইভা