জাতীয়

সুশাসনের জন্য ডিজিটাল নথি : তথ্যমন্ত্রী

সচিবালয় প্রতিবেদক : তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, উন্নয়ন ও শান্তির জন্য জঙ্গি দমনে দৃঢ়তার পাশাপাশি সুশাসন প্রতিষ্ঠায় ডিজিটাল পদ্ধতির সফল প্রয়োগ করছে সরকার। তথ্য অধিদপ্তরে ই-নথি ব্যবস্থাপনা প্রবর্তন তারই একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। সোমবার সচিবালয়ে তথ্য অধিদপ্তরে ‘ই-ফাইলিং’ কার্যক্রমের উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।  তিনি বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনে ঐতিহাসিক বিজয়ের পর থেকেই বিচারের সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা, বৈষম্যহীন সমৃদ্ধি, সুশাসনের জন্য ডিজিটাল প্রযুক্তি এবং শান্তির জন্য জঙ্গি দমনের কাজে সরকার আত্মনিয়োগ করেছে। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী এ ‘ই-ফাইলিং’ পদ্ধতি চালু করার জন্য তথ্য অধিদপ্তরকে অভিনন্দন জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, কাগজমুক্ত এ নথি ব্যবস্থাপনা সময় বাঁচাবে এবং জনগণ, গণমাধ্যম ও সরকারকে আরো ঘনিষ্ঠ করবে। এতে করে কাজে গতিশীলতা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধি পাবে। ফলে দপ্তরটি হবে আরো আধুনিক, দক্ষ ও সেবামূলক। অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক ও সুশাসনের বাংলাদেশ গড়ার কাজে সরকারের আন্তরিকতার কথা জনগণের কাছে পৌঁছানোর জন্য এ সময় গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। তথ্যসচিব মরতুজা আহমদ বলেন, উন্নয়নের পূর্বশর্ত হচ্ছে সুশাসন। আর ই-নথি পদ্ধতি সুশাসন নিশ্চিত করবে। একই সঙ্গে ই-নথি পরিবেশবান্ধব, সহজতর এবং নিরাপদ। জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছানোই ডিজিটাল বাংলাদেশের লক্ষ্য। আর ই-নথি তারই একটি অংশ।  এ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক্সেস টু ইনফরমেশন-এটুআই প্রকল্পকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধান তথ্য অফিসার এ কে এম শামীম চৌধুরী বলেন, ই-নথি প্রকল্প কার্যক্রমের অন্যতম বাস্তবরূপ এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার একটি অগ্রসর ধাপ। অনুষ্ঠানে তথ্য অধিদপ্তরের একটি নথিতে উত্থাপিত প্রস্তাব অনুমোদন করে প্রধান তথ্য অফিসার তার দপ্তরে এ কার্যক্রম চালু করেন। তথ্য অধিদপ্তরের প্রধান তথ্য অফিসার এ কে এম শামীম চৌধুরীর সভাপতিত্বে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মরতুজা আহমদ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। এ সময় তথ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান তথ্য অফিসার মোহাম্মদ ইসতাক হোসেন, সিনিয়র উপ-প্রধান তথ্য অফিসার ফজলে রাব্বী, মো. আকতার হোসেন, উপ-প্রধান তথ্য অফিসার জসীম উদ্দিন, এটুআই কর্মকর্তা খোরশেদ আলমসহ অধিদপ্তরের কর্মচারী ও গণমাধ্যম প্রতিনিধিরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, ই-নথি ব্যবস্থাপনায় প্রত্যেক কর্মচারীর একটি নিজস্ব ই-তহবিল থাকবে এবং কম্পিউটার ও মোবাইলে ই-নথি পদ্ধতির মাধ্যমে নথিতে মতামত দিতে ও স্বাক্ষর করতে পারবেন তারা। রাইজিংবিডি/ঢাকা/৩০ জানুয়ারি ২০১৭/আসাদ/নঈমুদ্দীন/মুশফিক