জাতীয়

বাংলাদেশ চার্টার্ড অ্যাকাউন্টস আইন-২০১৭ অনুমোদন

সচিবালয় প্রতিবেদক : বাংলাদেশ চার্টার্ড অ্যাকাউন্টস আইন-২০১৭ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। সোমবার সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে আইনটি অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, আগে একটা আইন ছিল, যার নাম ছিল দ্যা বাংলাদেশ চার্টার্ড অ্যাকাউন্টস অর্ডার ১৯৭২। মার্শাল ল আমলে এসব আইনের অনেকগুলো সংশোধনী করা হয়। যেমন দ্যা চার্টার্ড অ্যাকাউন্টস অ্যামেন্ডমেন্ট অর্ডিনেন্স ১৯৭৭, দ্যা বাংলাদেশ চার্টার্ড অ্যাকাউন্টস ১৯৮৬। মূলত এ দুটি সংশোধনী অনেক বড় (সংশোধনী) ছিল। মার্শাল ল আমলের সংশোধিত আইন হওয়ায় দুটি সংশোধনী পরিমার্জন-পরিবর্তন করে আইনটি নতুন করে তৈরির নির্দেশনা দেওয়া হয়। তারই আলোকে বাংলায় হালনাগাদ করে আইনটি উপস্থাপন করা হয়েছে। সচিব বলেন, আইনে ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং অ্যাক্টে চার্টার্ড অ্যাকাউন্টের যে সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছে তা যুক্ত করতে হবে। তবে এ আইনে ৫ নম্বর ধারাটি পরিবর্তন করা হয়েছে। পুরনো ধারা বাতিল করে একই ক্রমিকে নতুন ধারা যুক্ত করা হয়েছে। নতুন ধারায় চার্টার্ড অ্যাকাউন্টস ইনস্টিটিউটে অ্যাসোসিয়েট ও ফেলো অ্যাসোসিয়েট নামে দুই ধরনের সদস্য থাকবেন- বলেও জানান তিনি। আইনটিতে নতুন একটি ধারা যুক্ত করা হয়েছে জানিয়ে শফিউল আলম বলেন, আইনে ১০ নম্বর ধারাটি একেবারে নতুন। এতে একটি কাউন্সিল গঠনের কথা বলা হয়েছে। এটি হবে ২৫ সদস্যের। তিনি আরো বলেন, আইনের ৬(৪) ধারায় কাউন্সিলের ক্ষমতা উল্লেখ করা হয়েছে। এতে বলা হয়, সনদ বাতিল ও মুলতবি করার ক্ষমতা থাকবে প্রতিষ্ঠানটির। আইনে শাস্তির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এতে বলা হয়, ভুয়া সদস্য ও ভুয়া সনদ প্রমাণিত হলে ১০ লাখ টাকা জরিমানা, তিন বছরের কারাদণ্ড বা উভয় দণ্ড হতে পারে। তাছাড়া ২৪ ধারায় বলা হয়েছে, কেউ কাউন্সিল অবৈধভাবে ব্যবহার করলে এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৩ বছর ও ১০ লাখ টাকার জরিমানা কিংবা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।

   

রাইজিংবিডি/ঢাকা/৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭/নঈমুদ্দীন/মুশফিক