জাতীয়

চালের দাম ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আছে : খাদ্যমন্ত্রী

সচিবালয় প্রতিবেদক : ‘এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী খুচরা বাজারে মোটা চালের দাম বাড়ানোর চেষ্টা করছে। তবে তারা সফল হবে না। চলতি আমন মৌসুমে মোটা চালের দাম আর বাড়বে না।’ বুধবার সচিবালয়ে খাদ্যমন্ত্রী মো. কামরুল ইসলাম তার অফিস কক্ষে বাংলাদেশ চালকল মালিক সমিতির নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, গত বছর এই সময়ে ভারত থেকে প্রায় ৩ লাখ মেট্রিক টন মোটা চাল আমদানি হয়েছিল। গত বছর শুল্ক ছিল না। কিন্তু এবার শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। ফলে এ বছর একই সময়ে মাত্র ৩৭ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানি হয়েছে। এসব কারণে এবার মোটা চালের দাম একটু বেড়েছে। এ বছর ব্যবসায়ীরা চাল আমদানি করেনি। এজন্য আমাদের কৃষকরা লাভবান হয়েছে। তারা চালের ন্যায্য দাম পেয়েছে। মন্ত্রী বলেন, মোটা চালের সরকারি রেট প্রতি কেজি ৩৩ টাকা। কিন্তু কেজি প্রতি এই চালের দাম বেড়েছে এক থেকে দেড় টাকা। তবে এই দাম সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আছে। কখনোই শুল্ক প্রত্যাহার করা হবে না জানিয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কিছু অসাধু ব্যবসায়ী পাইকারি বাজারে দাম বাড়িয়ে চালের বাজার অস্থিতিশীল করতে চায়। যাতে সরকার শুল্ক প্রত্যাহার করে নেয়। আমরা সেই সুযোগ দেব না। শুল্ক প্রত্যাহার হবে না। আমাদের দেশের কৃষকরা যাতে ভালো থাকে সে ব্যবস্থাই হয়েছে। ভারত থেকে মোটা চাল না আসলে আমাদের দেশের কৃষকরাই চাল উৎপাদনে বেশি আগ্রহী হবে। চালের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে বলে সম্প্রতি গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়। এমন খবরের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ চালকল মিল মালিক সমিতির নেতাদের সঙ্গে বসেন খাদ্যমন্ত্রী। রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭/হাসান/রফিক