জাতীয়

বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে মাংস

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে মাংস ব্যবসায়ীদের বৈঠকের পরও মাংসের দাম কমেনি। গত রোববার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মুন্সি শফিউল হকের সঙ্গে বৈঠকে মাংস ব্যবসায়ীদের চার দফা দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেওয়াসহ আপাতত মাংসের দাম না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু সে সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে বাড়তি দামে গরু-মহিষ ও খাসির মাংস বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। অতিরিক্ত দামে মাংস বিক্রি করায় মঙ্গলবার কাপ্তানবাজার, রায়েরবাগ বাজারে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা। তবে মাংস ব্যবসায়ীরা বলছেন, বেশি দামে গরু কেনায় দাম বাড়াতে হয়েছে। এছাড়া বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সমাধানের আশ্বাস দিলেও এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। ধর্মঘটের আগে গরুর মাংস ৪৫০ টাকায় বিক্রি হলেও মঙ্গলবার কাপ্তানবাজার, রায়েরবাগ বাজারে ৫০০ টাকা থেকে ৫৩০ টাকা বিক্রি করা হচ্ছে। ৪০০ টাকার মহিষের মাংস ৪৫০ থেকে ৪৮০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। মঙ্গলবার কাপ্তান বাজারে দেখা যায়, প্রতি কেজি গরুর মাংস ৫০০ থেকে ৫৩০ টাকায় বিক্রি হয়। রায়েরবাগ বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হয়েছে ৫০০ টাকায়। খাসির মাংস প্রতি কেজিতে ৫০ টাকা বাড়িয়ে থেকে ৮০০ টাকায় এবং বকরির মাংস ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।  কাপ্তান বাজারে কথা হয় মাংস ক্রেতা শিমুলের সঙ্গে। তিনি বলেন, ধর্মঘটের আগে ৪৫০ টাকা করে কিনেছিলাম। রোববার গরুর মাংস ৫০০ টাকা করে কিনেছি। আজ ৫৩০ টাকায় কিনলাম। মাংস ব্যবসায়ীরা দাম বাড়ানোর জন্যই ধর্মঘট করেছে। কাপ্তান বাজারের মাংস ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম বলেন, চার দফা দাবির বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। সমস্যা সমাধান না হলে মাংসের দাম কমবে না। বেশি দামে কেনার কারণে বাড়তি দামে বিক্রি করা হচ্ছে। রায়েরবাজারের মাংস ব্যবসায়ী আনোয়ার সবুজ বলেন, উত্তর সিটি করপোরেশনের কিছু কর্মকর্তার সঙ্গে যোগসাজশে ইজারাদাররা পশুর হাটে নির্ধারিত খাজনার চেয়ে পাঁচগুণ বেশি আদায় করায় অতিরিক্ত দামে বিক্রি করা হচ্ছে। বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব রবিউল আলম বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সমাধানের আশ্বাস দিলেও এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তাছাড়া গাবতলীর গরুর হাট থেকে বাড়তি খাজনা আদায় করা হচ্ছে। তাই বাড়তি দামে কেনা গরুর মাংস বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। তিনি আরো বলেন,  গত রোববার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে দাবি-দাওয়া নিয়ে বৈঠক হলেও বাণিজ্যমন্ত্রী উপস্থিত না থাকায় কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এখন পর্যন্ত কোনো বৈঠক হয়নি কিংবা কোনো সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি। বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতি চার দফা দাবিতে ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি ধর্মঘট পালন করে। চার দফা দাবি হলো- গাবতলী হাটে ইজারাদারের অত্যাচার ও অতিরিক্ত খাজনা আদায় বন্ধ করতে হবে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) দুর্নীতিবাজদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। চামড়া শিল্প নগরীকে কার্যকর করতে হবে। সীমান্তে হুন্ডি ব্যবসায়ীদের কবল থেকে গরুর ব্যবসাকে মুক্ত করতে হবে। রাইজিংবিডি/ঢাকা/২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭/আসাদ/হাসান/মুশফিক