জাতীয়

১৫ মার্চ জ্বালানি মন্ত্রণালয় ঘেরাওয়ের ঘোষণা

নিজস্ব প্রতিবেদক: গ্যাসের মূ্ল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ১ থেকে ১৪ মার্চ পর্যন্ত লাগাতার বিক্ষোভ কর্মসূচি ও ১৫ মার্চ জ্বালানি মন্ত্রণালয় ঘেরাওয়ের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক পার্টি (বাসদ), বাংলাদেশ কমিনিউস্ট পার্টি ( সিপিবি) ও গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা এ কর্মসূচি ঘোষণা করে। এরপরও গ্যাসের দাম না কমালে সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারি দিয়েছে বামপন্থী দলগুলোর নেতা-কর্মীরা। আজ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশে কমিনিউস্ট পার্টি ও সমাজতান্ত্রিক দলের পক্ষে এ ঘোষণা দেন কমিনিউস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর আহমেদ ও গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার পক্ষে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি। এ সময় আবু জাফর আহমেদ বলেন, ‘দেশের মানুষ লাভবান হবে না তারপরেও গ্যাসের দাম কেন বেড়েছে। কারণ উন্নয়নের নামে মানুষের পকেট কাটছে সরকার। এটা হতে দেওয়া হবে না।’ তিনি বলেন, ‘আগামীকাল থেকে যদি গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির প্রক্রিয়া চালু থাকে তাহলে ১ থেকে ১৪ মার্চ লাগাতার আন্দোলন করবে সিপিবি। এরপর দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে ১৫ মার্চ জ্বালানি মন্ত্রণালয় ঘেরাও করা হবে।’ এরপরও যদি সরকারের টনক না নড়ে তাহলে আরো কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি। সমাজতান্ত্রিক দলের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান তার সঙ্গে সহমত পোষণ করে বলেন, ‘সরকার লুটেরা গোষ্ঠীর পক্ষে কাজ করছে। যার বোঝা বহন করতে হবে সাধারণ মানুষকে। কিন্তু আমরা তা হতে দেব না।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের আজকের হরতালে দেশের ৯৯ শতাংশ মানুষের সমর্থন রয়েছে। তাদের সঙ্গে নিয়েই আমরা আন্দোলন সফল করব। ’ গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি করে সরকার বুঝিয়ে দিয়েছে তারা খুব শক্তিশালী অবস্থানে নেই।’ বিক্ষোভ সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন কমিনিউস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাসদ নেতা আব্দুর রাজ্জাক, বাসদের কেন্দ্রীয় নেতা বজলুর রশিদ ফিরোজ প্রমুখ। রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭/হাসিবুল/ইভা