জাতীয়

পুলিশে কনস্টেবল পদে ১০ হাজার লোক নেয়া হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ পুলিশে কনস্টেবল পদে ১০ হাজার লোক নেয়া হবে। আগামী ৮ এপ্রিল থেকে ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত এ নিয়োগ প্রক্রিয়া চলবে। শুক্রবার দুপুরে ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. মাসুদুর রহমান বলেন, ‘প্রার্থীদের শারীরিক, লিখিত-মৌখিক পরীক্ষার মধ্য দিয়ে এ নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হবে। এ জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিও দেয়া হয়েছে।’ জানা গেছে, পুরুষ নেয়া হবে ৮ হাজার ৫০০ জন ও নারী নেয়া হবে ১ হাজার ৫০০ জন। উল্লেখিত তারিখে প্রার্থীদের সকাল ৯টায় নিজ নিজ জেলায় শারীরিক মাপ ও পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শেষে অন্য পরীক্ষা দিতে হবে। মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হলে সে ক্ষেত্রে বয়স ৩২ বছর প্রযোজ্য হবে। এসএসসি অথবা সমমানের পরীক্ষায় কমপক্ষে জিপিএ ২.৫ থাকতে হবে। একই সঙ্গে অবিবাহিত হতে হবে। আর পুরুষের ক্ষেত্রে শারীরিক ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি, মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুরুষের ক্ষেত্রে ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি, উপ-জাতীয় কোটা পুরুষের ক্ষেত্রে ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি। আর নারীদের ক্ষেত্রে সব কোটায় ৫ ফুট ২ ইঞ্চি থাকতে হবে। সঙ্গে আনতে হবে: শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্রের মূল কপি, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কিংবা সিটি কর্পোরেশন ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কাছ থেকে নাগরিকত্বের সনদ। জাতীয় পরিচয়পত্রের মূল কপি (যদি না থাকে মাতা/পিতার পরিচয়পত্রের মূল  কপি)। ৩ কপি সত্যায়িত পাসপোর্ট সাইজের ছবি। আর পরীক্ষার ফি বাবদ ১০০ টাকা ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে (১-২২১১-০০০০-২০৩১) নম্বর কোডে জমা দেয়ার চালান কপি আবেদন পত্রের সঙ্গে যুক্ত করতে হবে। মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের ক্ষেত্রে পিতা-মাতার নামে ইস্যুকৃত মুক্তিযোদ্ধা সনদপত্রের মূল কপি। আর পুলিশ পোষ্য কোটার প্রার্থীদের ক্ষেত্রে পিতা-মাতার নাম, পদবী, বিপি নম্বরসহ কর্মরত ইউনিটের প্রধান কর্তৃক প্রত্যয়ন পত্রের মূল কপি। পরীক্ষার নিয়ম : নির্ধারিত তারিখ, সময় ও স্থানে দৌড়, রোপিং ও জাম্পিং ইত্যাদি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। শারীরিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর দেড়টায় লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে (নূন্যতম ৪৫% নম্বর প্রাপ্তদের উত্তীর্ণ বলে গণ্য করা হবে)। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর ২০ নম্বরের মনস্তাত্ত্বিক ও মৌখিক পরীক্ষা হবে। নির্বাচন পদ্ধতি : মনস্তাত্ত্বিক ও মৌখিক পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে মেধাক্রম অনুযায়ী প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত করা হবে। পুলিশ ভেরিফিকেশন ও স্বাস্থ্য পরীক্ষায় বিবেচিত হলে প্রশিক্ষণের জন্য প্রাথমিকভাবে মনোনীত করা হবে। প্রশিক্ষণকালীন সুবিধা : প্রশিক্ষণকালীন বিনামূল্যে পোশাক সামগ্রী, থাকা, খাওয়া ও চিকিৎসা সুবিধা দেয়া হবে এবং ৭৫০ টাকা করে প্রশিক্ষণ ভাতা দেয়া হবে।

   

রাইজিংবিডি/ঢাকা/১০ মার্চ ২০১৭/মাকসুদ/শাহনেওয়াজ