নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর : যশোরে এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে মোমরেজ আলী (৫৫) নামের এক ব্যক্তিকে এলাকার নারীরা পিটুনি দিয়ে পুলিশে দিয়েছে। ওই শিশু এবং অভিযুক্ত ব্যক্তি দুইজনই যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। শনিবার ভোরে যশোর শহরের বেজপাড়ার একটি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটেছে। শিশুটি মা জানান, তার মেয়ে স্থানীয় একটি স্কুলে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ে। মেয়েটি তার নানির কাছে থেকে লেখাপড়া করে। শনিবার ভোরে মোমরেজ তার মেয়েকে ডেকে ঘরের মধ্যে নিয়ে যান। তখন মোমরেজের স্ত্রী এবং মেয়ে বাসায় ছিলেন না। মোমরেজের স্ত্রী অন্যের বাসায় কাজ করেন। মেয়ে বেড়াতে গিয়েছিলেন তার নানাবাড়ি। এ সুযোগে মোমরেজ শিশুটিকে ধর্ষণ করেন। শিশুটির চিৎকারে প্রতিবেশী সুমনের স্ত্রী আকলিমা ঘরের কাছে এসে বেড়ার ফাঁক দিয়ে ধর্ষণের ঘটনা দেখতে পান। পরে মেয়েটির কাছ থেকে ঘটনার বিস্তারিত শোনেন তার পরিবারের সদস্য ও আশপাশের লোকজন। সন্ধ্যার দিকে মোমরেজ বাড়িতে এলে এলাকার নারীরা ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে পিটুনি দেন। খবর দেওয়া হলে পুলিশ মোমরেজকে ধরে থানায় নিয়ে যায়। হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডের ডাক্তার মনিরুজ্জামান লর্ড বলেন, ‘মোমরেজ নামের এক ব্যক্তি মারধরের শিকার হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তাকে এক্স-রে করতে বলা হয়েছে, দেখা যাক।’ হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. ওয়াহেদুজ্জামান বলেন, ‘মেয়েটি হাসপাতালে ভর্তি আছে। তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে দেওয়া হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার আগে কিছু বলা যাবে না।’ কোতোয়ালি থানার ওসি ইলিয়াস হোসেন জানান, স্কুলছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় মোমরেজকে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলা হবে।
রাইজিংবিডি/যশোর/১২ মার্চ ২০১৭/বি এম ফারুক/বকুল