জাতীয়

‘ভোট দিলেই জিতবে বাংলাদেশ’

শায়েখ হাসান : বর্তমান সরকারের অন্যতম স্লোগান ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গঠন করা। এ লক্ষ্যে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন হয়েছে। বাংলাদেশের এ খাতের বেশ কয়েকটি উদ্যোগ ২০১৭ সালের জাতিসংঘ পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছে। প্রয়োজনীয় ভোট পেলে টানা চতুর্থবার এই আন্তর্জাতিক পুরস্কার জয়ের সুযোগ রয়েছে বাংলাদেশের। পুরস্কারের জন্য বাংলাদেশের পাঁচটি প্রকল্প প্রাথমিকভাবে মনোনীত হয়েছে। এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে ভোট পেলেই বাংলাদেশের ঝুলিতে যোগ হতে পারে আরেকটি আন্তর্জাতিক পুরস্কার। এ ‍বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রকল্পের আওতায় প্রচার চালানো হচ্ছে ‘ভোট দিলেই জিতবে বাংলাদেশ। জিতবে আন্তর্জাতিক পুরস্কার। বিশ্বের বাঘা বাঘা দেশগুলোকে পেছনে ফেলে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ।’ ২০১৭ সালের বিশ্ব তথ্য-সমাজ সম্মেলনে (ওয়ার্ল্ড সামিট অন দ্য ইনফরমেশন সোসাইটি) WSIS Prize-2017 বা ‘ডব্লিউএসআইএস অ্যাওয়ার্ড’ -এর কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি উদ্যোগ এবারো এ খাতের অ্যাওয়ার্ডের জন্য মনোনীত হয়েছে। সকলের প্রচেষ্টায় গত তিন বছর ধরে বাংলাদেশের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই প্রোগ্রামের বিভিন্ন উদ্যোগ এই বিরল সম্মাননা নিয়ে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় এ বছরও প্রতিযোগিতায় ৪টি ক্যাটাগরিতে এটুআই এর ৫টি প্রকল্প মনোনয়ন পেয়েছে। প্রকল্পসমূহ হচ্ছে- Nothi: Less Paper Office, a2i’s Social Media in Public Service Innovation Initiative, DAISY-standard Accessible Reading Materials for Students with Visual and Print Disabilities, a2i’s Unique Empathy Training Toolkit, Rural Entrepreneurship Model for Telemedicine Services using locally developed PC and Smartphone-based diagnostic equipment and software। ২০১৪ সালে প্রথম ডব্লিউএসআইএস অ্যাওয়ার্ড জিতেছিল বাংলাদেশ। এই পুরস্কার তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে উদ্যোগ ও বাস্তবায়নের বড় ধরনের স্বীকৃতি হিসেবে বিবেচিত হয়। তথ্যপ্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে জনগণের দোরগোড়ায় সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যকে সামনে নিয়ে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প ২০২১’ বাস্তবায়ন এবং ৫ বছরের মধ্যে মানুষের জীবনমানে ইতিবাচক পরিবর্তনের স্বীকৃতিস্বরূপ ওই বছর এটুআইকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়। সেটাই প্রথম বাংলাদেশের কোনো উদ্যোগ ওয়ার্ল্ড সামিট অন দ্য ইনফরমেশন সোসাইটির চূড়ান্ত পর্যায়ে পুরস্কৃত হয়। এরপর আরো দু’বার বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক এই পুরস্কার অর্জন করে।

আইসিটি টেকসই উন্নয়ন পুরস্কার হাতে প্রধানমন্ত্রী ও সজীব ওয়াজেদ জয়

একসেস টু ইনফরমেশনের (এটুআই) পরিচালক আব্দুল মান্নান রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাত বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় দ্রুতগতিতে এগিয়ে গেছে। এটির স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য সবার উচিৎ ভোট দেওয়া। তাই আসুন সবাই সম্মিলিতভাবে ভোট দিয়ে আমাদের প্রাপ্য স্বীকৃতি অর্জন করি।’ ভোট প্রদানের জন্য https://www.itu.int/net4/wsis/prizes/2017/ লিংকে গিয়ে ভোট ফর প্রজেক্টে ক্লিক করতে হবে। এরপর সব ক্যাটাগরি থেকে পছন্দ অনুযায়ী ভোট দেওয়া যাবে। এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে, প্রতিটি ক্যাটাগরিতেই অর্থাৎ ডব্লিউএসআইএস অ্যাওয়ার্ডের ১৮টি ক্যাটাগরিতেই ভোট দিতে হবে। সেখানে বাংলাদেশের প্রকল্পগুলোকে সিলেক্ট করে দিতে হবে। এছাড়া ভোট প্রদানের নির্দেশিকা (বাংলা): https://goo.gl/jweaSp, ইংরেজি নির্দেশিকা : https://goo.gl/fqNFHo এবং দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য ভোট প্রদানের নির্দেশিকা : https://goo.gl/iFeMHi সংশ্লিষ্ট লিংকে দেওয়া আছে। এমনকি পুরো বিষয়টি বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে এটুআই। প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার ২০২১ সালের মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তিতে সমৃদ্ধ ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ শুরু করে। ইতোমধ্যে সেই লক্ষ্যের অনেকটাই অর্জিত হয়েছে। তথ্য-প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে মানুষের জীবনমান পরিবর্তনের স্বীকৃতি হিসেবে ২০১৪ সালে ‘ওয়ার্ল্ড সামিট অন ইনফরমেশন সোসাইটি’ (ডব্লিউএসআইএস) পুরস্কার পায় বাংলাদেশের ‘একসেস টু ইনফরমেশন’ (এটুআই) প্রকল্প। তথ্য-প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে সমাজের অগ্রগতিতে অবদানের জন্য একই বছর ‘পাবলিক সেক্টর এক্সিলেন্স’ ক্যাটাগরিতে ‘গ্লোবাল আইসিটি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড’ পায় বাংলাদেশ। গত বছর বাংলাদেশ পায় ‘আইসিটি সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট অ্যাওয়ার্ড’। আইটিইউ’র গালা ডিনারে অ্যাওয়ার্ডটি গ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে এই ‘আইটিইউ পুরস্কার’ দেশের তরুণদের উৎসর্গ করেন প্রধানমন্ত্রী। ভোট দিতে নির্দেশিকামূলক ভিডিও দেখুন এখানে- রাইজিংবিডি/ঢাকা/১২ এপ্রিল ২০১৭/শায়েখ/হাসান/উজ্জল