জাতীয়

রমনা বটমূলে মানবতার জয়ধ্বনি

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর রমনার বটমূলে ছায়ানটের বাংলা বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে গানে, কবিতায়, আবৃত্তিতে শোনানো হয় মানবতার জয়ধ্বনি। ঐতিহ্য অনুযায়ী শুক্রবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে শুরু হয় ছায়ানটের অনুষ্ঠান। মানবতার বারতা ছড়িয়ে দিতে আয়োজনের শুরুতে সরোদে সুরের মূর্ছনা ছড়ান রাজপুর চৌধুরী। এরপর ‘আলোকের এই ঝর্নাধারায় ধুইয়ে দাও’ গানে গানে নতুন বছরকে আনুষ্ঠানিক বরণ করে ছায়ানট। এছাড়া এবার পঞ্চকবির গান, একক গান, সম্মিলিত গান, আবৃত্তি ও কবিতার সঙ্গে ছিল পালা। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম, রজনীকান্ত সেন, অতুল প্রসাদ সেন ও দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের গানসহ কালজয়ী অন্য গানও পরিবেশিত হয়। পুরো আয়োজনে প্রায় ১৫০ শিল্পী অংশ নিয়েছে। বরাবরের মতো অনুষ্ঠান শেষের আগে বক্তব্য রাখেন ছায়ানটের সভাপতি ড. সনজীদা খাতুন । তিনি বলেন, ‘মানবতার জয়গান ছড়িয়ে দিতে আজকের এ আয়োজন। সমবেত কণ্ঠে গত ৫০ বছর ধরে আমরা এ ধরনের অনুষ্ঠান করে আসছি।’ দেশবাসীর উদ্দেশে ড. সনজীদা বলেন, গ্রামে গ্রামে অর্থদিয়ে ধর্ম ব্যবসায়ীরা মানুষ কিনছেন। তাই আরেকটি স্বাধীনতা আন্দোলন করতে হবে। আর এ আন্দোলন হবে সাংস্কৃতিক আন্দোলন। তিনি আরও বলেন, আমরা ছায়ানটের হয়ে যে আন্দোলন করছি তার সঙ্গে সবাইকে সম্পৃক্ত করতে হবে। গান-কবিতা-নাটকের মাধ্যমে সবাই যেন দলবেঁধে সাধারণ মানুষের কাছে যেতে পারি সে ব্যবস্থা করতে হবে। সাধারণ মানুষের কাছে না পৌঁছালে দেশ আলোকিত করা সম্ভব হবে না। রমনা পার্ক ঘুরে দেখা গেছে, অন্যবারের তুলনায় এবার রমনা পার্কে লোক সমাগম তুলনামূলক কম। শুক্রবার সাপ্তাহিক সরকারি ছুটি, প্রচণ্ড রোদের পাশাপাশি নিরাপত্তায় কড়াকড়ির কারণে অনেকে আসেননি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ব্যাগ নিয়ে কাউকে প্রবেশ করতে দেয়নি।  যে কারণে কেউ কেউ মাঝপথে ফিরে গেছেন। রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৪ এপ্রিল ২০১৭/মাকসুদ/উজ্জল