জাতীয়

রাজধানীতে চলছে সিটিং সার্ভিস, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীতে সিটিং সার্ভিস, গেটলক ও স্পেশাল সার্ভিসের নামে চলাচল করা বাসগুলো আজ থেকে বন্ধের ঘোষণা থাকলেও তা চলছে আগের মত এবং যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। শনিবার রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,  নির্ধারিত চার্ট অনুযায়ী টাকা না নেওয়ায় অনেকে বাসের কন্ডাক্টরের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েছে। সিটিং সার্ভিসে যাত্রাবাড়ী থেকে মিরপুরের ভাড়া ৩০ টাকা হলেও এই সার্ভিসে বাংলামোটর পর্যন্ত আসলেও মিরপুরের ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু যাত্রীরা ৩০ টাকা না দেওয়ায় কন্ডাক্টরের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মোহাম্মদপুর বিআরটিসির দ্বিতল বাস ডিপোর পাশে থেকে ‘ডাইরেক্ট’ বাসগুলো ছেড়ে যাচ্ছে। মোহাম্মদপুর থেকে আরামবাগ পর্যন্ত গেটলক সেবা দিচ্ছে সেগুলো। ভাড়া রাখা হচ্ছে ২০ টাকা করে। জিগাতলা, সিটি কলেজ বা শাহবাগ যারা নামছেন তাদেরও গুণতে হচ্ছে ওই ২০ টাকাই। এছাড়া রাজধানীর বিভিন্ন রুটে চলা পরিবহন রাজাসিটি, মৈত্রী পরিবহন, ফতেহ ট্রান্সপোর্ট লিমিটেড, শিখর পরিবহন, সুপ্রভাত, বিহঙ্গ ও হাজী পরিবহনে ‘সিটিং সার্ভিস’ নামে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করতে দেখা গেছে। অতিরিক্ত ভাড়া আদায় সম্পর্কে শিখর পরিবহনের কন্ডাক্টর মো. রাসেল বলেন, ‘আমরা সিটিং সার্ভিস বন্ধ করার কথা শুনছি, কিন্তু ভাড়া কম রাখলে প্রতিদিনের চালানই তো উঠবো না। আর মালিকরাও তো ভাড়া কম রাখতে কিছুই কয় নাই। কইলে পরে আমরা কম রাখুম।’ প্রসঙ্গত, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ে জনগণের ভোগান্তি কমাতে সরকার ও মালিক সমিতির সিদ্ধান্তে এ কৌশল নেওয়া হয়। গত ৪ এপ্রিল রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েতুল্লাহ বলেন, রাজধানীতে এ সার্ভিস বন্ধ ঘোষণা করেছে ঢাকা পরিবহন মালিক সমিতি। বিআরটিএ নির্ধারিত চার্ট অনুসরণ করে ভাড়া আদায় করতে হবে গণপরিবহনগুলোকে। এ বিষয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, সিটিং সার্ভিসের বিষয়টি নিয়ে যে সিদ্ধান্ত হয়েছে এতে মালিক ও শ্রমিক উভয়ই খুশি। বাস মালিকদের সরকার নির্ধারিত ভাড়াই নিতে হবে। কেউ যদি তা অমান্য করেন তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৫ এপ্রিল ২০১৭/নাসির/উজ্জল