জাতীয়

বিশ্বের সপ্তম বৃহত্তম ডেটা সেন্টার হচ্ছে গাজীপুরে

নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর : জেলার কালিয়াকৈরে বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটিতে যে ডেটা সেন্টার হচ্ছে তা হবে বিশ্বের সপ্তম বৃহত্তম ডেটা সেন্টার। সোমবার রাতে কালিয়াকৈরে বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটির সম্মেলনকক্ষে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখানে আমরা দেশের সব সরকারি তথ্য সংরক্ষণ করার পরও আমরা প্রাইভেট সেক্টরের অনেক তথ্য রাখতে পারব। প্রধানমন্ত্রীর তথ্য-প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজিব ওয়াজেদ জয় টার্গেট দিয়েছেন যে, ২০২১ সাল নাগাদ আমাদের ৯০ শতাংশ সরকারি সেবা অনলাইনে থাকবে। এই সবগুলো সেবা আমরা সংরক্ষণ করতে পারব আমাদের নিজস্ব ডেটা সেন্টারে। তিনি বলেন, আমাদের কাজের যে অগ্রগতি তাতে আমি দৃঢ়ভাবে আশাবাদী আগামী ২০১৮-২০১৯ সালের মধ্যে বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটিতে প্রাণ সঞ্চার হবে। এটা স্থাপনের কাজ শেষ হয়ে গেলে আশা করছি আগামী ১০ বছরে এক লাখেরও বেশি বেকার তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে। আমাদের এখানে কয়েকশ দেশি-বিদেশি কোম্পনি বিনিয়োগ করবে। এরই মধ্যে ১০-১৫টি কোম্পানি রিসোর্ট, হোটেল, ডেটা সেন্টার ইত্যাদি নির্মাণের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। মত বিনিময় সভায় প্রতিমন্ত্রী প্রকল্পে নিযুক্ত বিভিন্ন কর্মকর্তাদের কাজের অগ্রগতি জানতে চান। এ সময় হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ এমদাদুল হক, বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটির প্রকল্প পরিচালক এএনএম সফিকুল ইসলাম, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব সুবীর কিশোর চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। এর আগে বিকেলে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ইমরান আহমদ এমপি গাজীপুরের কালিয়াকৈরে নির্মাণাধীন ‘ফোর টায়ার জাতীয় ডেটা সেন্টার’সহ এর অগ্রগতি পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে প্রকল্প পরিচালক আবু সাঈদ চৌধুরী সামগ্রিক কার্যক্রমের অগ্রগতি সম্পর্কে সবাইকে অবহিত করেন। এখনে ক্লাউড কম্পিউটিং ও জি-ক্লাউড প্রযুক্তির এই ডেটা সেন্টারের নির্মাণ ব্যয় হবে ১৯৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর মধ্যে চীনা এক্সিম ব্যাংকের সহায়তায় ১৫৪ মার্কিন ডলার এবং সরকারি খাত থেকে ৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থায়ন হচ্ছে। বিশালাকার এই ডেটা সেন্টারের সর্বমোট ৯ এমভিএ লোডের রিডান্ডেন্ট লাইনসহ সমৃদ্ধ ২৪ ঘণ্টা নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সংযোগের ব্যবস্থা থাকছে। এ ডেটা সেন্টারের জন্য আন্তর্জাতিক মানের দ্বিতল ভবন তৈরি হচ্ছে। এরই মধ্যে নির্মাণ কাজের ৫০ শতাংশ অগ্রগতি হয়েছে। ডেটা সেন্টারের অপারেশন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য জনবলের দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে উন্নত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আপটাইম ইনস্টিটিউট থেকে টায়ার ফোর গোল্ড ফল্ট টলারেন্ট সার্টিফিকেশন অর্জনের মাধ্যমে এই প্রকল্পের সফল সমাপ্তি হবে।  রাইজিংবিডি/গাজীপুর/১৭ এপ্রিল ২০১৭/হাসমত আলী/এসএন