জাতীয়

‘‌দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে’

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাভার থেকে : ফায়ার সার্ভিসের উপ সহকারী পরিচালক মামুন মাহমুদ বলেছেন, তৈরি পোশাক খাতে (আরএমজি সেক্টরে) দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ফায়ার সার্ভিস। সাভারের রানা প্লাজা ধসে নিহত শ্রমিকদের স্মরণে সোমবার সকালে রানা প্লাজার সামনে স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘রানা প্লাজা ধস থেকে আমরা শিক্ষা নিয়েছি। এর পর আরএমজি সেক্টরে দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘২০১৩ সালে যখন এখানে ভবন ধসের ঘটনা ঘটে তখন আমরা ছিলাম ফার্স্ট এটেন্ডেন্ট। সেখান থেকে ১ হাজার ১৩৬টি লাশ ও প্রায় ২ হাজার ৪০০- এর বেশি আহত শ্রমিককে উদ্ধার করি। অনেক চাপের মধ্যেও আমরা সুষ্ঠুভাবে কাজ সম্পন্ন করতে পেরেছিলাম।’ তিনি বলেন, ‘প্রতি বছর ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। এ বছরও তাদের জন্য দোয়া ও স্মরণ করতে আমরা এখানে এসেছি।’ প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ডে অবস্থিত রানা প্লাজা ধসের ঘটনা ঘটে।  সরকারি হিসেবে এ ঘটনায় প্রাণ হারান ১১৩৬ জন শ্রমিক। আহত অবস্থায় ধ্বংসস্তুপ থেকে উদ্ধার করা হয় ২ হাজার ৪৩৮ জনকে। ভবনটি ধসে পড়ার পর সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস, র‌্যাব পুলিশসহ সাধারণ জনগণ উদ্ধার তৎপরতায় নামেন। ধীরে ধীরে দীর্ঘ হয় উদ্ধার অভিযান। এতো বড় বিপর্যয়ের প্রথম মুখোমুখি হয় উদ্ধার কর্মীরা। টানা ২০ দিন ধরে চলে উদ্ধার তৎপরতা। সেনাবাহিনীর নবম পদাতিক ডিভিশনের তত্ত্বাবধায়নে একে একে ভবন থেকে ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় বের করে আনা হয় মরদেহ। লাশের নগরীতে পরিণত হয় সাভার পৌর এলাকা। অনেক শ্রমিককে নিখোঁজ রেখেই শুরু করা হয় যান্ত্রিক উদ্ধার অভিযান। ১৭তম দিনে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় রেশমা নামের এক নারী শ্রমিককে।

 

   

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৪ এপ্রিল ২০১৭/নূর/ইভা