জাতীয়

‘শিক্ষার উন্নয়নে যুগোপযোগী পদক্ষেপ নেওয়া হবে’

সচিবালয় প্রতিবেদক : শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, মাধ্যমিক শিক্ষার মান উন্নয়নে যুগোপযোগী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। শিক্ষার মান নিয়ে একটি কমিটি কাজ করছে। তাদের সম্মিলত  সিদ্ধান্ত ২০১৮ সালে পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। বৃহস্পতিবার দুপুরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে মাধ্যমিক শিক্ষার উন্নয়নে শিক্ষাবিদদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বাংলা, ইংরেজি, গণিত, হিসাব বিজ্ঞানসহ ১২টি বিষয় নিয়ে শিক্ষাবিদরা কাজ করছেন। তাদের সম্মিলিত সিদ্ধান্ত পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করে শিক্ষার মান উন্নয়ন করা হবে। এই ১২টি বই পর্যালোচনা করে সহজ, সাবলীল ও প্রয়োজনে ছোট করা হবে। সভায় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রাক্তন গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রাক্তন উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী, শিক্ষাবিদ ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল, অধ্যাপক মনজুর আহমেদ,  অধ্যাপক কায়কোবাদ, অধ্যাপক আখতারুজ্জামান, অধ্যাপক শ্যামলি নাসরিন চৌধুরী, অধ্যাপক তাসলিমা নাসরিন প্রমুখ। তিনি আরো বলেন, এসএসসি পর্যায়ের ১২টি পাঠ্যবইয়ে পরিবর্তন আসছে। পাশাপাশি যেসব পাঠ্যবইয়ে হেফাজতিকরণ হয়েছে, তা পর্যালোচনা করে দেখা হচ্ছে।  নাহিদ বলেন, কারিকুলাম, পরীক্ষা পদ্ধতি, ফলপ্রণয়ন প্রদ্ধতিসহ অন্যান্য দিকও পর্যালোচনা চলছে। তিনি বলেন, আমাদের মূল লক্ষ্য- শিক্ষা ব্যবস্থা অপেক্ষাকৃত উন্নত পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া। সে লক্ষ্যে শিক্ষাবিদ ও দেশের বিশিষ্ট নাগরিকদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটি এসব কাজ করবে। অধ্যাপক জাফর ইকবাল বলেন, আপনারা পাঠ্যবইয়ে হেফাজতিকরণের বিষয় জানতে চাচ্ছেন। বাংলা বিষয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অধ্যাপক শ্যামলি নাসরিন চৌধুরীকে। উনি একজন শহীদ জায়া। তিনি বিষয়টি ভালোভাবে পর্যালোচনা করে আমাদের উদ্ধার করবেন বলে মনে করি। অধ্যাপক মনজুর আহমেদ বলেন, পাঠ্যবইয়ে রাতারাতি বৈপ্লবিক কোনো পরিবর্তন হচ্ছে না। সংস্কার ধারাবাহিক প্রক্রিয়া, যুগের চাহিদার সঙ্গে মিলিয়ে তা করা হচ্ছে। অধ্যাপক এম এম আকাশ বলেন, অর্থনীতির বইটি দেখছি। সংবিধানের বিরুদ্ধে কিছু থাকলে বাদ যাবে। সেখানে কোনো ভুল থাকলে সংশোধন করা হবে। জটিলতা থাকলে সহজ করা হবে। রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৭ এপ্রিল ২০১৭/আসাদ/হাসান/সাইফ