জাতীয়

‘শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষা করেই সবকিছু করা হবে’

নিজস্ব প্রতিবেদক : শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষা করেই সবকিছু করা হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। শুক্রবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট অডিটরিয়ামে জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস-২০১৭ উপলক্ষে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় হলো ‘শোভন কর্ম পরিবেশ, এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ’। তিনি  বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের সংবিধানে মেহনতি মানুষের স্বার্থ সুরক্ষা করেছেন। ১৯৭২ সালের ২২ জুন বাংলাদেশ আইএলও’র সদস্য হয়েছে। আজ তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষা করেই সবকিছু করছেন। ভবিষ্যতেও করা হবে। তিনি আরো বলেন, ২০০৯ সালে শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ছিল মাত্র ১৬০০ টাকা। প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে ২০১৩ সালে শ্রমিকদের বেতন ২২৩ ভাগ বৃদ্ধি করে ন্যূনতম ৫ হাজার ৩০০ টাকা করা হয়েছে। শ্রমিকরা সরকারি চাকরিজীবীদের মতো প্রতি বছর ৫ শতাংশ হারে বেতন বৃদ্ধির সুবিধা পাচ্ছেন। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, শ্রমিকদের মেহনতের কারণেই আজ আমাদের দেশের অর্থনীতির এ উন্নতি হয়েছে। গতবছর আমাদের রপ্তানি ছিল ৩৪ দশমিক ২৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর ৮১ ভাগই এসেছে তৈরি পোশাক খাত থেকে। তৈরি পোশাক খাতে দেশের ৪৫ লাখের বেশি শ্রমিক কাজ করছে। অপ্রত্যাশিত রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর শিল্প কারখানার শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। শ্রমিকরা এখন উপযুক্ত বেতনে, নিরাপদ ও কর্মবান্ধব পরিবেশে কারখানায় কাজ করছে। তোফায়েল আহমেদ বলেন, অপ্রত্যাশিত রানা প্লাজা দুর্ঘটনার সময় হতাহতের দৃশ্য দীর্ঘদিন প্রচারমাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়েছে। ফলে এর বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি পোশাক ক্রেতাদের মধ্যে পড়েছে। আমাদের সবাইকে দায়িত্বশীল হয়ে কাজ করতে হবে। দেশের তৈরি পোশাক কারখানাগুলো ইতোমধ্যে কমপ্লায়েন্স করা হয়েছে। পুরাতন কারখানার বদলে নতুন আধুনিক গ্রিন ফ্যাক্টরি তৈরি করা হযেছে। শ্রমিকরা এখন নিরাপদ ও কর্মবান্ধব পরিবেশে কাজ করছে। কারখানার মালিকরা এজন্য বিপুল অর্থ ব্যয় করেছেন। কিন্তু ক্রেতাগোষ্ঠী তৈরি পোশাকের মূল্য বৃদ্ধি করছে না, উপরন্ত ইউরোর দরপতনের ফলে দাম আরো কমেছে। শ্রমিকদের অধিকার সুপ্রতিষ্ঠিত করতে তৈরি পোশাকের মূল্য বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। শ্রম সচিব মিকাইল শিপারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক। এ সময় বিজিএমইএর প্রেসিডেন্ট মো. সিদ্দিকুর রহমান, কারখানা ও প্রতিষ্ঠান আধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. সামসুজ্জামান ভূঁইয়া, ঢাকায় নিযুক্ত কানাডার রাষ্ট্রদূত বেনোইট পিয়ারি লারামি, শ্রমিক লীগের প্রেসিডেন্ট সুকুর মাহমুদ বক্তব্য রাখেন। রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৮ এপ্রিল ২০১৭/আসাদ/হাসান/মুশফিক