জাতীয়

খেলতে গিয়ে প্রাণ গেল শিশুর

নিজস্ব প্রতিবেদক : খেলায় মগ্ন ছিল আট বছরের শিশু সাব্বির হোসেন ও তার ছোট বোন ফারজানা। নতুন একটি খেলা শিখেছিল তারা। একজন গরু সাজবে, তার গলায় দড়ি লাগানো থাকবে; অন্যজন দড়ি ধরে হাঁটবে। গতকাল রাতে এ খেলাই মরণখেলায় পরিণত হয়। শনিবার দিবাগত রাত ১১টার দিকে রাজধানীর ভাটারা থানা এলাকার বি ব্লকের মাজহারুল ইসলামের বাড়িতে গলায় ফাঁস লেগে মারা যায় সাব্বির। গভীর রাতে ভাটারা থানা পুলিশ সেখানে গিয়ে তার লাশ উদ্ধার করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য রোববার দুপুরে সাব্বিরের লাশ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। সাব্বিরের বাবার নাম আবু সাঈদ। তার বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার ইটনায়। তিনি ও তার স্ত্রী সেখানে একটি ইট ভাটায় কাজ করেন। তাদের সন্তান ঢাকায় দাদা-দাদির সঙ্গে থাকত। ঢামেক হাসপাতালে ভাটার থানার উপ-পরিদর্শক লাল মিয়া রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে আমরা ধারণা করছি, গলায় ফাঁস লেগে শিশুটি মারা গেছে। সে তার দাদা-দাদির সঙ্গে ওই বাসায় থাকত। আমরা যখন ওই বাসায় যাই, তখন শিশুটি মৃত অবস্থায় ফ্লোরে শোয়া ছিল। পরিবারের পক্ষ থেকে আমাদের জানানো হয়েছে, তারা ভাই-বোন মিলে গরু ও রাখাল খেলা খেলছিল। খেলার একপর্যায়ে সাব্বিরকে জানালায় বেঁধে রেখে তার বোন পাশের রুমে যায়। এ সময় খেলার ছলে বিছানা থেকে পড়ে গিয়ে ঝুলে যায় সাব্বির। এতে তার মৃত্যু হয়। পরে ফারজানা দেখে তার দাদাকে জানালে তিনি সেখান থেকে সাব্বিরকে নামিয়ে ঘরের মেঝেতে রাখেন। হাসপাতালে সাব্বিরের বাবা আবু সাঈদ জানান, সাব্বিরকে এ বছর প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি করা হয়েছিল। পড়ালেখায় সে খুব মনোযোগী ছিল। তিনি বলেন, আমি কাউকে সন্দেহ করছি না। ওই বাসায় সাব্বির, তার ছোট বোন আর দাদা-দাদি ছিলেন। তারা তাকে এত স্নেহ করতেন যে আমাদের অনুপস্থিতিতেও তারা স্বাভাবিক থাকত। এটি একটি দুর্ঘটনা। রাইজিংবিডি/ঢাকা/৩০ এপ্রিল ২০১৭/নূর/রফিক