জাতীয়

কাজী আরিফকে গার্ড অব অনার

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিশিষ্ট আবৃত্তিশিল্পী ও মুক্তিযোদ্ধা কাজী আরিফের মরদেহ সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেওয়া হয়। সেখানে তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তার মরদেহে শেষ শ্রদ্ধা নিবদনের জন্য কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেওয়া হয়। শহীদ মিনারে কাজী আরিফের শেষশ্রদ্ধায় উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুসহ সাংস্কৃতিক অঙ্গনের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। কাজী আরিফের মরদেহ দুপুর ১টা পর্যন্ত সেখানে রাখা হয়। পরে সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের পর বাদ জোহর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জামে মসজিদে তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে জানাজা শেষে কাজী আরিফের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে ধানমন্ডিতে মেয়ে অনুসূয়ার বাসায়। সবশেষ উত্তরা চার নম্বর সেক্টরে মায়ের কবরের পাশে এই গুণী আবৃত্তিশিল্পীকে সমাহিত করা হবে। এর আগে মঙ্গলবার সকালে তার মরদেহ বহনকারী বিমানটি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। গত শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কাজী আরিফ মারা যান। পরে রোববার নিউ ইয়র্কের জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারে বাদ মাগরিব তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পেশায় স্থপতি এই গুণী একাধারে আবৃত্তিশিল্পী, লেখক ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক। কাজী আরিফের জন্ম ১৯৫২ সালের ৪ সেপ্টেম্বর, রাজবাড়ী সদরের কাজীকান্দা গ্রামে। বেড়ে উঠেছেন চট্টগ্রাম শহরে। পড়াশোনা, রাজনীতি, শিল্প-সাহিত্য এসব কিছুরই হাতেখড়ি হয় সেখানে। আবৃত্তির পাশাপাশি লেখালেখিও করতেন তিনি, সক্রিয় ছিলেন সাংস্কৃতিক আন্দোলনে। ১৯৭১ সালে ১ নম্বর সেক্টরে মেজর রফিকুল ইসলামের কমান্ডে সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন কাজী আরিফ। এরপর যুদ্ধ শেষে বুয়েটে লেখাপড়া শুরু করেন আর সঙ্গে সমান তালে এগিয়ে যেতে থাকে তার শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি। বাংলাদেশের আবৃত্তিশিল্পের অন্যতম রূপকার কাজী আরিফ। তিনি মুক্তকণ্ঠ আবৃত্তি একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা এবং বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য। কাজী আরিফ আবৃত্তির জন্য বাংলাদেশের বিভিন্ন সংগঠন থেকে পুরস্কারের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসীদের থেকে ফোবানা পুরস্কার এবং কলকাতা থেকে বেশ কয়েকটি পুরস্কার পান। রাইজিংবিডি/ঢাকা/২ মে ২০১৭/নাসির/সাইফুল/ইভা