জাতীয়

‘দেশের অগ্রগতি ও নিরাপত্তায় জঙ্গিবাদ বড় অন্তরায়’

সংসদ প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘দেশের অগ্রগতি ও নিরাপত্তার জন্য সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ বড় অন্তরায়।’ বুধবার বিকেলে দশম জাতীয় সংসদের ১৫তম অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে বেগম আখতার জাহানের লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এ দেশের মানুষ সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদ ঘৃণা করে। দেশের অগ্রগতি ও নিরাপত্তার জন্য সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ বড় অন্তরায়। বর্তমান সরকার ক্ষমতা আসার পর জঙ্গিবাদ দমনে জিরো টলারেন্স নীতির ভিত্তিতে কার্যকর পদক্ষেপ ও পরিকল্পনা গ্রহণ করে। জঙ্গি দমনে সারা বিশ্বে বাংলাদেশ আজ রোল মডেল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বেশকিছু সফল অভিযানে শীর্ষস্থানীয় জঙ্গি নেতাসহ উল্লেখযোগ্য সংখ্যক গুরুত্বপূর্ণ সদস্য গ্রেপ্তার ও নিহত হয়। বিপুল পরিমাণ অস্ত্র গোলা বারুদ উদ্ধার করা হয়। হলি আর্টিজান হামলার পর জঙ্গিগোষ্ঠী আঘাত হানার আগে আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের পরিকল্পনা নস্যাৎ করে দিয়েছে এবং জঙ্গি আস্তানাসমূহ গুঁড়িয়ে দিয়েছে।’ ‘জঙ্গি দমনে বাংলাদেশ প্রো-অ্যাক্টিভ পুলিশিংয়ের একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। অভিযানসমূহ পরিচালনার ফলে বর্তমানে জঙ্গি তৎপরতা বহুলাংশে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে এবং জঙ্গি দমনে এ সাফল্য আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে,’ বলেন প্রধানমন্ত্রী। জঙ্গি দমনে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জঙ্গি সংগঠনগুলোর অনলাইনভিত্তিক প্রচারণার দিকে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো নজর রাখছে। এ জাতীয় প্রচারণার মাধ্যমে যাতে জনগণের মধ্যে জঙ্গিবাদী মতাদর্শের সম্প্রসারণ না ঘটে, সেজন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলো কাজ করছে।’ বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম ওমরের অপর প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশকে ২০২১ সালের মধ্যে একটি মধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সালে একটি উন্নত রাষ্ট্রের মর্যাদায় অভিষিক্ত করার পূর্ব শর্ত হচ্ছে দেশকে অর্থনৈতিকভাবে আত্মনির্ভরশীল হিসেবে গড়ে তোলা। এ লক্ষ্যে দেশের রাজস্ব বৃদ্ধির মাধ্যমে আমাদের সক্ষমতা বাড়াতে হবে। সরকারের জনকল্যাণমূলক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড গতিশীল রাখার স্বার্থে কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব সংগ্রহের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে মোট অভ্যন্তরীণ রাজস্বের ৮২ শতাংশ অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের মাধ্যমে আহরণ করা হচ্ছে।’ রাইজিংবিডি/ঢাকা/৩ মে ২০১৭/নৃপেন/রফিক