জাতীয়

পাটজাত মোড়কের ব্যবহার নিশ্চিতে অভিযান

নিজস্ব প্রতিবেদক : পাটজাত মোড়কের ব্যবহার নিশ্চিতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেছে ঢাকা জেলা প্রশাসন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদ এলাহীর নেতৃত্বে সোমবার এ অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানের পাওয়া চিত্রের পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতগুলোর অব্যাহত কঠোর তদারকিতে পাট ফিরে পাচ্ছে তার হারানো গৌরব। পোস্তগোলা ও জুরাইন বালুর মাঠ এলাকায় পরিচালিত অভিযানে প্রায় অর্ধশতাধিক চাল, আটা, গমের আড়তে অভিযান চালিয়ে সবাইকে ‘পণ্যে পাট জাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন, ২০১০’ মেনে পাটজাত মোড়ক ব্যবহার করতে দেখা যায়। অর্ধশতাধিক দোকানের মধ্যে শুধু ফরিদপুর রাইস এজেন্সিতে ১০ থেকে ১৫টি পলিথিন মোড়কে চাল রাখতে দেখা যায়। দোকানটিকে ‘পণ্যে পাট জাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন, ২০১০ এর ১৪ ধারা মোতাবেক পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জুরাইন চাল ও খাদ্যদ্রব্য আড়তদার সমিতির সভাপতি মাওলানা মো. ইউসুফ জানান, দীর্ঘদিন ধরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাহেবদের অভিযান ও সচেতনতা তৈরির কারণে তার সমিতির সবাই পাটের মোড়ক ব্যবহার করে। ফরিদপুর রাইস এজেন্সি অসাবধানতাবশত: ভুল করায় সমিতির পক্ষ হতেও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জেলা পাট কর্মকর্তা জহুরুল ইসলাম জানান, শুধু জুরাইন নয়, ঢাকা শহরের মোটামুটি সকল আড়তগুলোতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করছে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়। আইনে উল্লেখিত খাদ্যদ্রব্য সমূহে পাট ব্যতিত অন্য কোনো মোড়কের ব্যবহার করে দেখা যাচ্ছে না। দু-একজনকে অপরাধ করতে দেখা গেলে সাথে সাথে শাস্তির ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ফলে ঢাকাসহ দেশে সব সরকারি  বেসরকারি পাটকলগুলোতে পাটজাত দ্রব্যের উৎপাদন ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে। পাট শিল্প ফিরে পাচ্ছে কাঙ্খিত গতি। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদ এলাহী বলেন, অভিযানে শেষে আড়তদার সমিতির সাথে বৈঠক করা হয় এবং তাদের চমৎকার ভূমিকা ও সচেতনতার জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে ধন্যবাদ দেওয়া হয়। সবাই একসাথে কাজ করলেই সুদিন ফিরে পাবে দেশের গৌরব সোনালী আঁশ। রাইজিংবিডি/ঢাকা/২২ মে ২০১৭/আশরাফ/সাইফ