জাতীয়

জিপিএ-৫ পেলেও টাকার অভাবে ভর্তিতে অনিশ্চয়তা

নিজস্ব প্রতিবেদক : এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে জান্নাতুল ইয়াসমিন। কিন্তু এইচএসসিতে ভর্তি নিয়ে রয়েছে অনিশ্চয়তায়। এখন মেয়ের ঝরে পড়ার আশঙ্কা করেছেন তার মা। মেয়েকে এইচএসসিতে ভর্তি করানো বা তার লেখাপড়া চালিয়ে নেওয়ার মতো সামর্থ্য তার নেই। এ পর্যন্ত পড়িয়েছেন অনেক কষ্ট করে। ভাল ফলাফল করার পরও এখন মেয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন এই মা। জান্নাতুল ইয়াসমিনরা দুই বোন। ছোট বোন সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে। তাদের বাবার নাম কাজী মীর মোশাররফ হোসেন। তিনি থেকেও নেই।  মা আর দুই বোন এখন কলাবাগান থানার  নর্থ রোডের একটি ভাড়া বাসায় থাকেন। জান্নাতুল ইয়াসমিন ঢাকা বোর্ডের অধীনে ধানমন্ডি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিষয়ে জিপিও-৫ পেয়েছে। জান্নাতুল ইয়াসমিনের মা ফরিদা ইয়াসমিন জানান, তাদের বিয়ের কয়েক বছর পর তার স্বামী তাদের ছেড়ে চলে যায়। অন্য একজনকে বিয়ে করে অন্যত্র সংসারও শুরু করে মোশাররফ হোসেন। তারপর থেকে দুই মেয়েকে নিয়ে জীবনযুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন মা ফরিদা ইয়াসমিন। তিনি অনেক কষ্ট করে দুই মেয়েকে লেখাপড়া করিয়ে আসছেন। এখন আর দুই মেয়ের লেখাপড়া আর তাদের সংসারের খরচ বহন করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই তিনি তার মেয়ের লেখাপড়ার জন্য হৃদয়বানদের সহযোগিতা চেয়েছেন। তিনি বলেন, যদি কোনো প্রতিষ্ঠান বা হৃদয়বান ব্যক্তি এ ব্যাপারে এগিয়ে আসে, তাহলে হয়তো মেয়ের কলেজে ভর্তি হওয়া হবে। তা না হলে হয়তো তার মেয়ের আর লেখাপড়া করা সম্ভব হবে না। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শুধু পড়লে তো হবে না। সংসারের অন্য খরচও তো আছে। আমি তা জোগাড় করব নাকি ওদের পড়াশুনার খরচ জোগাড় করব। আমি আর পারছি না। তাই সবার সহযোগিতা চেয়েছি। রাইজিংবিডি/ঢাকা/২২ মে ২০১৭/ সাওন/সাইফ