জাতীয়

নিরাপত্তা নিয়ে জাইকার প্রেসিডেন্টের সন্তোষ

বিশেষ প্রতিবেদক : জঙ্গি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড প্রতিরোধ এবং বাংলাদেশে অবস্থানরত বিদেশি নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের ক্ষেত্রে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপে সন্তোষ প্রকাশ করছেন বাংলাদেশে সফররত জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি-জাইকার প্রেসিডেন্ট ড. শিনিচি কিতাওকা। বুধবার সন্ধ্যায় সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সঙ্গে তার কার্যালয়ে জাইকার প্রেসিডেন্ট এক সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন। পরে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা জানান। জাইকা প্রেসিডেন্ট তিন দিনের সফরে বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করছেন। তিনি পাঁচ সদস্যের উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন একটি প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। প্রতিনিধিদলে জাইকার চিফ সেক্রেটারি তাকুমি উয়েসিমা, মহাপরিচালক কিচিহিরো নাকাজাওয়া, সিনিয়র ডিরেক্টর ফুউয়োকি সাগারা এবং পরিচালক তাকুরো কাকিউচি। জাপানে নিযুক্ত বংলাদেশের রাষ্ট্রদূতও উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী বলেন, ঢাকায় তিন দিনের সফরকালে জাইকা প্রেসিডেন্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সরকারের প্রভাবশালী বেশ কয়েকজন মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন। এ সময় তারা বাংলাদেশে জাইকার অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন বিভিন্ন প্রকল্পের অগ্রগতি, ভবিষ্যৎ প্রকল্পসহ বাংলাদেশে কর্মরত জাপানের নাগরিকদের নিরাপত্তা বিষয়ে আলোচনা করবেন। জাইকার প্রেসিডেন্টের ঢাকা সফরকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অভিহিত করে অর্থমন্ত্রী বলেন, গত বছর গুলশানে মর্মান্তিক ঘটনার পর এটাই প্রথম কোনো উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সফরে এসেছে। এদিক থেকে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, ইতিমধ্যে জাপানি নাগরিকদের বাংলাদেশ সফরের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিয়েছে। যদিও নারীদের ক্ষেত্রে এখনো বলবৎ আছে। জাইকা প্রেসিডেন্টের সফরের মধ্যে বন্ধুপ্রতীম দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক আরো দৃঢ় হল। জাপান আমাদের অনেক পুরনো বন্ধু। ১৯৮১ সাল থেকে জাইকা আমাদের সর্বোচ্চ উন্নয়ন সহযোগি হিসেবে সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। মুহিত বলেন, জাপানের প্রধানমন্ত্রী পাঁচ বছরে ৫ বিলিয়ন ডলার সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রতি দিয়েছিলেন। এরই মধ্যে দেশটি দুই বছরে দুই বিলিয়ন ডলার দিয়ে দিয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বাকি তিন বিলিয়ন ডলার পাওয়া যাবে। অর্থমন্ত্রী বলেন, আগামী ১ জুলাই জাপান গুলশান ট্রাজেডিতে নিহত নাগরিকদের স্মরণে কিছু করবে বলে জাইকা প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন। তাদের জন্য আমাদেরও কিছু করা উচিত, আমরাও কিছু করবো। তবে কী করবো সেটা এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। বহুল আলোচিত মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) এর নতুন হার সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, বিষয়টি নিয়ে খুব সমস্যার মধ্যে আছি। আগামীকাল বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিয়ে বৈঠক হবে। সেখানে ভ্যাট হার চূড়ান্ত করা হবে। তিনি বলেন, এক শতাংশ কমালে আট হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায় কম হবে। তিন শতাংশ কমালে ২৪ হাজার কোটি টাকা। বাজেটের আগে এত কমানো সম্ভব হবে না। অন্যদিকে ভ্যাট হার এক শতাংশের বেশি কমালে ভ্যাট আদায়ের যে সফটওয়্যার রয়েছে সেটি পরিবর্তন করতে হবে। আর এটি করতেও দুই মাসের বেশি সময় লাগবে। এ মুহূর্তে তা সম্ভব নয়। তবে এতটা বলতে পারি যাই করি তাতে ব্যবসায়ীরা খুশি হবেন। আমরা অন্যভাবে চিন্তা করছি। রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৪ মে ২০১৭/হাসনাত/সাইফ