জাতীয়

মাসিক মজুরির সমপরিমাণ ঈদ বোনাস দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক : ২০ রোজার মধ্যে গার্মেন্ট শ্রমিকদের এক মাসের মূল মজুরির সমপরিমাণ ঈদ বোনাসের দাবি জানিয়েছে গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র। শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত সমাবেশ থেকে এ দাবি জানায় সংগঠনটি। সমাবেশে গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক জলি তালুকদার বলেন, এই দেশে সবচেয়ে বিলাসবহুল জীবনযাপন করেন গার্মেন্ট মালিকরা। কিন্তু শ্রমিকদের পাওনার কথা এলে তারাই সবচেয়ে বিত্তহীন হয়ে যান। ফলে প্রতি বছর ঈদ উৎসবের সময় গার্মেন্ট শ্রমিকরা উৎসব বোনাস থেকে বঞ্চিত হয়। কিছু কারখানায় বোনাস দেওয়া হলেও তা নামমাত্র, কখনো কখনো দান-খয়রাতের মতো বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। তিনি বলেন, দেশে জনপ্রশাসন ও সেবা খাতে এবং সরকারি-বেসরকারি নির্বিশেষে সব কর্মকর্তা-কর্মচারী মূল মজুরির সমান উৎসব ভাতা পেয়ে থাকেন। অথচ সিংহভাগ রপ্তানি আয়ের কারিগর, সর্ববৃহৎ উৎপাদন খাত গার্মেন্ট শিল্পের শ্রমিকরা বরাবরই বঞ্চিত হয়। তিনি আরো বলেন, একদেশে দুই নিয়ম চলতে পারে না। তিনি আগামী ২০ রোজার মধ্যে সব গার্মেন্ট কারখানায় এক মাসের মূল মজুরির সমপরিমাণ ঈদ বোনাস পরিশোধের দাবি জানান। একই সঙ্গে শ্রমিকরা যাতে কোনোভাবেই বঞ্চিত না হয় সেজন্য সংশ্লিষ্ট সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের দায়িত্ব অনুযায়ী সচেষ্ট হওয়ার দাবি জানান তিনি। সভাপতির বক্তব্যে শ্রমিক নেতা কাজী রুহুল আমিন গার্মেন্ট শ্রমিকদের ন্যূনতম মূল মজুরি ১০ হাজার টাকা এবং মোট মজুরি ১৬ হাজার টাকাসহ গার্মেন্ট শ্রমিকদের ১০ দফা দাবির ভিত্তিতে শক্তিশালী শ্রমিক আন্দোলন তুলতে গার্মেন্ট শ্রমিকদের প্রতি আহ্বান জানান। সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন, শ্রমিক নেতা ইকবাল হোসেন, দুলাল সাহা, আব্দুস সালাম বাবুল, দিদারুল ইসলাম, মোহাম্মদ জুয়েল, রীতা আক্তার প্রমুখ। সমাবেশ শেষে একটি মিছিল নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। মিছিলটি পল্টন মোড় ঘুরে সংগঠনের কার্যালয় মুক্তিভবনে এসে শেষ হয়। রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৬ মে ২০১৭/মামুন খান/মুশফিক