জাতীয়

রাস্তায় হকারদের পণ্যের পসরা

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর গুলিস্তান, বায়তুল মোকাররমসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় ফুটপাত ও প্রায় অর্ধেক রাস্তাজুড়ে পসরা সাজিয়েছেন হকাররা। শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত এ চিত্র দেখা গেছে। এছাড়া গুলিস্তান বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের  রাজধানী হোটেলের সামনের সড়কটি পুরো দখল করে দোকান বসিয়েছেন হকাররা। স্থানীয় প্রভাবশালীদের নির্দেশে হকাররা রাস্তা দখল করে দোকান খুলেছেন বলে অভিযোগ আছে। গুলিস্তানের ফুলবাড়িয়া ফুটপাতের ব্যবসায়ী সফিউল রাইজিংবিডিকে বলেন, এখানে আট বছর ধরে দোকান করছি। রোববার থেকে বৃহস্পতিবার উচ্ছেদ আতঙ্কে ঠিকমতো দোকান খুলতে পারি না। আমাদের বিকল্প ব্যবস্থা না করে উচ্ছেদ করা হয়েছে। রোববার থেকে বৃহস্পতিবার দুপুরের পর দোকান খুললেও বিক্রি হয় না। আজ সকাল থেকেই দোকান খুলেছি। বিক্রিও ভাল হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের ফুটপাতে জুতা বিক্রি করেন সুজন রায়। তিনি রাইজিংবিডিকে বলেন, এই দোকান দিয়ে দুই ভাইয়ের পরিবার চলে। শুক্র-শনিবার উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ থাকায় বেশি বিক্রি হয়। তাই সকাল ৮টায় দোকান খুলেছি। তিনি আরো বলেন, দোকান বন্ধ থাকলে সংসার চলবে কিভাবে? প্রতিদিন ৫০০ থেকে ৭০০ টকা করা খরচ। এজন্য একদিনও দোকান বন্ধ রাখি না। এ ব্যাপারে মালিবাগের বাসিন্দা আপেল মাহমুদের সঙ্গে গুলিস্তানে কথা হলে রাইজিংবিডিকে বলেন, সকাল থেকে গুলিস্তান এলাকায় ফুটপাত-রাস্তা দখল করে হকাররা দোকান নিয়ে বসেছেন। এতে রাস্তায় চলাফেরা করতে সমস্যা হয়। সাধারণ মানুষের স্বাভাবিকভাবে ফুটপাতে চলাচলের স্বার্থে হকার উচ্ছেদের দাবি জানান তিনি।  নাম প্রকাশ না করার শর্তে পল্টন থানার এক উপপরিদর্শক রাইজিংবিডিকে জানান, শুক্র-শনিবার সকাল থেকেই হকাররা রাস্তা-ফুটপাতে দোকান নিয়ে বসেন। স্থানীয় প্রভাবশালীদের নির্দেশে হকাররা রাস্তা দখল করে দোকান নিয়ে বসে। হকারদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দিলে কিছুক্ষণ পর প্রভাবশালীরা আবার বসিয়ে দেয়।     এ ব্যাপারে ডিএসসিসির প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা জাকির হোসেন রাইজিংবিডিকে বলেন, কর্মদিবস ছাড়া গুলিস্তান, মতিঝিল এলাকায় হকার উচ্ছেদে অভিযান পরিচালনা করা হয় না। হকাররা রাস্তা দখল করে দোকান নিয়ে বসলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। হকারদের পুনর্বাসনের বিষয় নিয়ে গত ১১ জানুয়ারি নগর ভবনের সভাকক্ষে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও হকার নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন মেয়র। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় ১৫ জানুয়ারি থেকে কর্মদিবসে গুলিস্তান, মতিঝিল ও এর আশপাশ এলাকার ফুটপাতে দিনের বেলা কোনো হকার বসতে দেওয়া হবে না। তবে অফিস শেষে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে তারা গুলিস্তান-মতিঝিল এলাকায় বসতে পারবে। রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৬ মে ২০১৭/আসাদ/মুশফিক