জাতীয়

‘নিরাপদ খাদ্য আইনের বহুমুখী সচেতনতা জরুরি’

নিজস্ব প্রতিবেদক : নিরাপদ খাদ্য আইন-২০১৩ এর মাধ্যমে খাবার উৎপাদন এর খামার বা মাঠ হতে খাবার টেবিল পর্যন্ত নিরাপদ খাদ্য সরবরাহ করা সম্ভব। এর জন্য বহুমুখী সচেতনতা তৈরি করতে হবে। শনিবার বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের উদ্যোগ ও ঢাকা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ‘নিরাপদ খাদ্য : খাদ্যে ভেজাল ও দূষণ প্রতিরোধে সামাজিক আন্দোলন’ শীর্ষক কর্মশালায় কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. মাহফুজুল হক এ কথা বলেন। রাজধানীর পুরানা পল্টনে একটি হোটেলে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে নিরাপদ খাদ্য আইন-২০১৩, রেস্তোরাঁ, মিষ্টি, বেকারি, দুগ্ধজাত দ্রব্য, শাকসবজি, ফলমূল, প্যাকেটজাত খাবার নিরাপদ রাখার লক্ষ্যে করণীয় নির্ধারণ ও বাস্তবায়ন পন্থা নিয়ে প্যানেল আলোচনা ও প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মো. কামরুল ইসলাম বলেন, নিরাপদ খাদ্য সাংবিধানিক অধিকার। সেই সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিত করতেই নিরাপদ খাদ্য আইন-২০১৩ প্রণয়ন করা হয়েছে। এই আইনের আওতায় সারা দেশে ১৮টি মন্ত্রণালয় একযোগে কাজ করছে। আইনটি ইউরোপ আমেরিকা, ভারত, শ্রীলঙ্কা ইত্যাদি দেশের আদলে কাজ করে সারাদেশে বিশুদ্ধ ও নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করবে। তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে সচেতনতা তৈরি করে পরবর্তী সময়ে আইন প্রয়োগ করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার যেমন দেশে উদ্বৃত্ত খাদ্য উৎপাদন সফল হয়েছে তেমনি জনগণকে নিরাপদ খাদ্য সরবরাহ করতে বদ্ধ পরিকর। ঢাকার জেলা প্রশাসক মো. সালাহ উদ্দিন সভাপতির বক্তব্যে বলেন, নিরাপদ খাদ্য আইন-২০১৩ এর ভিত্তি করে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ নামক প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করা হয়। সবাই মিলে একসাথে কাজ করলে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা সম্ভব। সকল ক্ষেত্রেই এ পদ্ধতিতে নিরাপদ ভেজালমুক্ত খাদ্য সরবরাহ করা সম্ভব। তিনি আরো বলেন, রমজানে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৭ মে ২০১৭/আশরাফ/সাইফ