জাতীয়

বিড়ি শ্রমিকদের বিকল্প কর্মসংস্থানের আহ্বান

নিজস্ব প্রতিবেদক : শ্রমিকদের বিকল্প কর্মসংস্থান না করে বিড়ি শিল্প তুলে না দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। রোববার বিকালে ‘বৈষম্যমূলক শুল্কনীতি ও জাতীয় বাজেট’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় বক্তারা এসব কথা বলেন। সিরডাপ মিলনায়তনে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা গবেষণা ও কালেকটিভ (আরডিসি) এই গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে প্রাক্তন শিল্পমন্ত্রী দিলিপ বড়ুয়া, স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ মুহাম্মদ আব্দুস সবুর, বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক আবদুর রহমান, রংপুর বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আমিন উদ্দিন বিএসসি উপস্থিত ছিলেন। সভা প্রধান হিসেবে এতে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও আরডিসির চেয়ারপারসর প্রফেসর মেসবাহ কামাল। অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য একেএম ফজলুল হক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষক-শ্রমিক মেহনতি মানুষের জন্য রাজনীতি করেন। এ কারণে বিড়ি শ্রমিকদের কথাও উনি ভাববেন। শুধু বিড়ি শ্রমিক না সব শ্রমিকই জাতির মেরুদণ্ড। সুতরাং দুই বছরের মধ্যে বিড়ি শিল্পকে তুলে দেওয়া হবে, এটা কোনো ভাবেই সম্ভব নয়। তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকার শ্রমিকদের জীবনমান উন্নত করার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছে। এ কারণে ১০০টি ইকোনমিক জোন তৈরি করা হচ্ছে।  আমার ধারণা সেখানে বিড়ি শ্রমিকরা ভালো কাজ পাবে। তিনি এ সময়ে বিড়ি শিল্প তুলে দেওয়ার বিষয়ে অর্থমন্ত্রীর বক্তব্যেরও সমালোচনা করেন। দিলিপ বড়ুয়া তার বক্তব্যে বলেন, স্বাধীনতা আন্দোলন শুধু নয় ৬০ এর দশকের সব আন্দোলনে বিড়ি শ্রমিকদের বড় ধরনের ভূমিকা রয়েছে। মূল আলোচক জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. আব্দুস সবুর বলেন, বিড়ি স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। তবে সিগারেটেই নিকোটিনের পরিমান বেশি থাকে। সেক্ষেত্রে বিড়ি বন্ধ করে দেওয়ার কথা বলে প্রকারন্তে সিগারেটের প্রতি আনুকূল্যতা দেখানো হচ্ছে। গোলটেবিল বৈঠকে পাবনা থেকে আসা  বিড়ি শ্রমিক রেখা, রংপুরের পারুল, যশোরের ফজলুল হক তাদের জীবনচিত্র তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন। রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৮ মে ২০১৭/আশরাফ/সাইফ