জাতীয়

আ.লীগ সভাপতির কার্যালয়ে মশার উপদ্রব!

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানী ঢাকায় ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন  কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তারা বলেছেন, মশা তাড়াতে দিনের বেলায়ও স্প্রে ও কয়েল ব্যবহার করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা জানান, তাদের মোট ১৩ জন কর্মীর মধ্যে ৯ জনই সময়ের ব্যবধানে চিকুনগুনিয়া জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। মশার উপদ্রবের কারণে দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ও পদস্থ কর্মকর্তাদের কাছে এ পর্যন্ত তিন বার টেলিফোন করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। কিন্তু সিটি করপোরেশন থেকে কারও কোন সাড়া মেলেনি। ঈদের তিন দিন আগেও দলীয় সাধারণ সম্পাদক ঢাকা দক্ষিণের মেয়র সাঈদ খোকনকে টেলিফোন করে মশার উপদ্রবের বিষয়টি অবহিত করেন। সংশ্লিষ্টরা আরো জানান, সিটি করপোরেশনের লোকরা মাঝে মধ্যে দুই একদিন এসে স্প্রে করে যায়। কিন্তু প্রতিদিন স্প্রে করতে আসে না। এদিকে গত ২৪ জুন শুক্রবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগ আয়োজিত ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে যুবলীগ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী চিকুনগুনিয়া জ্বরের প্রকোপ বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করেন এবং ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ঘেরাও করার হুমকি দেন। যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, ‘ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় সম্প্রতি চিকুনগুনিয়া রোগ বৃদ্ধি পেয়েছে। জীবাণুবাহী মশার মাধ্যমে এ রোগের বিস্তার ঘটছে। সঠিকভাবে মশা নিধন করতে না পারায় এ পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। মশা দমনের ব্যর্থতার দায়ভার ঢাকার দুই মেয়র এড়িয়ে যেতে পারেন না। তাই এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে যুবলীগ সিটি করপোরেশন ঘেরাও কর্মসূচি পালনে বাধ্য হবে।’ মশার উপদ্রব নিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হক বলেছিলেন, মেয়রের বাড়িতেও মশা আক্রমণ করে। তাই মশা নিয়ে মেয়রও কাহিল। মশক নিধনের জন্য আমরা তৎপরতা আরও বাড়িয়েছি। এবার বাজেটে ২৫ কোটি টাকা রেখেছি মশক নিধনের জন্য। আর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন বলেছিলেন, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোগ ছড়িয়ে পড়া রোধ করতে বাড়ির আশপাশে  যাতে পানি জমতে না পারে সেদিকে সবাইকে লক্ষ্য রাখতে হবে। বাড়ির আঙিনা, ফুলের টব, ভাঙা অব্যবহৃত পাত্র ও এয়ারকুলারে জমে থাকা পানি অপসারণ করতে হবে। তিনি মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে সবার সহযোগিতা কামনা করেন। আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডে প্রতিদিন মশার ওষুধ ছিটানোর জন্য ৫ থেকে ৬ জন করে কর্মী নিযুক্ত আছেন। দিনে দু’বার তাদের ওষুধ ছিটানোর কথা। কিন্তু সপ্তাহে একদিনও তাদেরকে আমরা আসতে দেখি না। আমরা তো আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর কার্যালয়ের স্টাফ। আমরা সইতেও পারি না, কইতেও পারি না।’ রাইজিংবিডি/ঢাকা/৩০ জুন ২০১৭/নৃপেন/শাহনেওয়াজ