সচিবালয় প্রতিবেদক : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে আলোচনার উদ্যোগ নেবে জাতিসংঘ। রোববার দুপুরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার ও শরণার্থী বিষয়ক এক প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন। জাতিসংঘের মানবাধিকার ও শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) প্রধান হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্রান্ডির নেতৃত্বে ৬ সদস্যের প্রতিনিধি দল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা জাতিসংঘের প্রতিনিধিদলকে জানিয়েছি, বাংলাদেশে ৫ লাখের মতো রোহিঙ্গা রয়েছে। তাদের অবস্থানের কারণে বাংলাদেশের পরিবেশ ও নিরাপত্তা ঝুঁকিতে রয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্রান্ডি জানিয়েছেন, রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে তারা আলোচনা করবে এবং এ বিষয়ে বাংলাদেশকে জানাবে।’ তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে সামাজিক ক্ষেত্রে ও বনায়নের ক্ষেত্রে নানা সমস্যার সৃষ্টি করছে। তারা সন্ত্রাস ও জঙ্গি কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়তে পারে । প্রতিদিন তাদের সংখ্যা যেভাবে বাড়ছে তা বাংলাদেশের জন্য অনেকটা হুমকির কারণ হতে পারে। তাই এদের দ্রুত মিয়ানমারে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা করতে বলেছি।’ তিনি বলেন, ‘এই প্রতিনিধি দলটি বাংলাদেশে আসার আগে একই ইস্যুতে মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে কথা বলেছে। তারা আমাদের জানিয়ে, বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে ইতিবাচক অবস্থানে আছে মিয়ানমার সরকার। তবে এর আগে মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের পরিচয় শনাক্ত করতে চায়। কারণ, তারা নিশ্চিত হতে চায় তারা মিয়ানমারের নাগরিক কিনা। এ বিষয়ে এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। এ বিষয়ে আলোচনা চলবে বলে জানিয়েছে প্রতিনিধি দল।’ জাতিসংঘের প্রতিনিধি দল রোহিঙ্গাদের প্রতি বাংলাদেশ সরকারের মানবিক আচরণের প্রশংসা করেছে এবং এ ধরনের ভূমিকা অব্যাহত রাখার অনুরোধ জানিয়েছে বলে তিনি জানান। এর আগে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেন। তিনি বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দক্ষতা বাড়াতে সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন। এ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটি দুই দেশের মধ্যে রুটিন ওয়ার্ক।’ রাইজিংবিডি/ঢাকা/৯ জুলাই ২০১৭/আসাদ/ইভা/শাহনেওয়াজ