জাতীয়

পরিবারে আর্থিক ক্ষমতায়নে সিসিমপুরের নতুন প্রকল্প

নিজস্ব প্রতিবেদক : পরিবারের আর্থিক ক্ষমতায়নের উদ্দেশ্যে ‘ইচ্ছে জমা করি : পরিবারের আর্থিক ক্ষমতায়ন গড়ি’ শীর্ষক প্রকল্প শুরু করল সিসেমি ওয়ার্কশপ বাংলাদেশ। মেটলাইফ ফাউন্ডেশনের আর্থিক সহায়তায় সম্প্রতি রাজধানীর বেঙ্গল মাল্টিমিডিয়া স্টুডিওতে এর উদ্বোধন করা হয়। এটি শিশু ও তাদের অভিভাবকদেরকে অর্থনৈতিক জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে। সিসিমপুর যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় সিসেমি স্ট্রিট-এর বাংলাদেশি সংস্করণ। ইচ্ছে জমা করি : পরিবারের আর্থিক ক্ষমতায়ন গড়ি- এই উদ্যোগটিতে সিসিমপুরের বন্ধুরা সঞ্চয়, খরচ, ভাগাভাগি ও দানের কৌশল সম্পর্কিত মজার মজার সব ধারণা ‍নিয়ে হাজির হবে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি ও বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট। মেটলাইফ- বাংলাদেশ, নেপাল ও মিয়ানমার- এর চেয়ারম্যান, মো. নুরূল ইসলাম বলেন, ‘আমরা সিসেমি ওয়ার্কশপের সঙ্গে বিশ্বব্যাপী অংশীদারিত্বের জন্য গর্বিত এবং বিশ্বজুড়ে আর্থিক নিশ্চয়তার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। এটি একটি অনন্য উদ্যোগ, কারণ, এটি শিশুদেরকে আর্থিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে প্রাথমিক ভিত্তি প্রদান করবে ও শিশুশিক্ষায় পরিবারের অংশগ্রহণকে নিশ্চিত করবে।’ বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট বলেন, ‘মেটলাইফ ফাউন্ডেশনের সাথে নতুন এই অংশীদারিত্বের মাধ্যমে সিসিমপুর বাংলাদেশি শিশু ও তাদের পরিবারকে সঞ্চয়, খরচ, ভাগাভাগি ও দানের গুরুত্বকে বোঝাতে সক্ষম হবে, যা শিশুদেরকে দায়িত্ববান ও সফল নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে সহায়তা করবে।’ সিসেমি ওয়ার্কশপ ইন্ডিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাশ্বতী ব্যানার্জি বলেন, ‘সিসেমি ওয়ার্কশপের মূল লক্ষ্য শিশুদেরকে আরো বুদ্ধিদীপ্ত, সুস্বাস্থ্যের অধিকারী ও বিনয়ী হয়ে বেড়ে উঠতে সহায়তা করা।’ মেটলাইফ ফাউন্ডেশন নভেম্বর ২০১৩ সাল থেকে সিসেমি ওয়ার্কশপকে ‘ইচ্ছে জমা করি: পরিবারের আর্থিক ক্ষমতায়ন গড়ি’ নামের প্রকল্পে আর্থিক সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। প্রকল্পটি পরিবারের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের একটি উদ্যোগ, যেখানে শিশুরাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। মেটলাইফ ফাউন্ডেশন এই প্রকল্প ৫ বছর ব্যাপী বাস্তবায়নের জন্য ২০ মিলিয়ন ডলার সহায়তা করে। বিশ্বব্যাপী ৭৫ মিলিয়নেরও বেশি লোকের কাছে পৌঁছানোর জন্য ব্রাজিল, ভারত, মেক্সিকো, চীন, চিলি, জাপান, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং মিশরে ‘ইচ্ছে জমা করি’ প্রকল্পের কাজ চলছে।

   

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২১ জুলাই ২০১৭/উজ্জল/শাহনেওয়াজ