জাতীয়

চেয়ারপার্সনের বাসভবনে যাতায়াতে বাধা দেয়া হচ্ছে

নিজস্ব প্রতিবেদকঢাকা, ৯ নভেম্বর : বিএনপি চেয়ারপার্সনের বাসভবনে যাতায়াতে বাধা দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

একই সাথে চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয় এবং দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে পুলিশি অবস্থান তুলে নিতে এবং নেতা-কর্মীদের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান তিনি। শনিবার রাত পৌনে ৯টায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব অবিলম্বে দলের নেতাদের নামে মামলা প্রত্যাহার করে গ্রেফতারকৃত বিএনপি নেতাদের মুক্তি দাবি করেন। মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন, ‘বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশানস্থ বাসভবনে নির্বিঘ্নে যাতায়াতে বাধাদান, চেয়ারপার্সনের গুলশানস্থ কার্যালয়, নয়াপল্টনস্থ বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয় অবরুদ্ধ রাখা হয়েছে।

এছাড়া, বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের বাসভবনে পুলিশি তল্লাশি চালানো হচ্ছে।ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, ‘আগামী দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চরম ভরাডুবির বিষয়টি মাথায় রেখেই বর্তমান সরকার নিজেদের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সংবিধান থেকে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থা তুলে দিয়েছে। এই জন্য স্বৈরাচারীর ভূমিকায় অবর্তীর্ণ হয়ে প্রধানমন্ত্রী গণমানুষের দাবিকে নির্দয়ভাবে দমন করছেন।’ তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর দলের নেতৃবৃন্দ একদিকে সমঝোতা ও সংলাপের অষ্পষ্ট কথা বলে জনগণের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন, আবার অন্যদিকে বিরোধী দলের নেতৃবৃন্দকে গ্রেফতার ও বাড়িতে বাড়িতে হামলা করে মূলত: জনগণের ভাগ্য নিয়ে তামাশা করছেন।’‘দেশের মানুষ যখন বিদ্যমান রাজনৈতিক সংকটে একটি সমঝোতার জন্য উন্মুখ হয়ে আছে, তখন জাতীয় নেতৃবৃন্দকে গ্রেফতার সরকার তার একগুঁয়েমির পুরনো পথেই হেঁটেছেন। একতরফা একদলীয় নির্বাচনের নীল নকশা বাস্তবায়ন থেকে তারা সরে আসে নি অভিযোগ করেন তিনি।’মির্জা ফখরুল বলেন, ‘কোন নীল নকশাই কাজে আসবে না। জনগণের মধ্যে শান্তি ও আস্থার ভাব সৃষ্টি করতে সংবিধানে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থা সম্পর্কে সংলাপের পথে আসতে ক্ষমতাসীনদের প্রতি আহবান আহবান জানান তিনি।’

রাইজিংবিডি / আরপি / এমএএম