জাতীয়

ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক-মহাসড়ক দ্রুত সংস্কারের সুপারিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রবল বর্ষণের কারণে সারাদেশে যেসব সড়ক ও মহাসড়ক যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে তা দ্রুত সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ এবং ঈদের আগেই সংস্কার কাজ শেষ করার সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি। বুধবার সংসদ সচিবালয়ে সরকারি প্রতিশ্রুতি সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা হয়। একই সঙ্গে বৈঠকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বহু কাঙ্খিত পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শেষ করার তাগিদ দেওয়া হয়। কাজী কেরামত আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে কমিটির সদস্য হুইপ মো. শহীদুজ্জামান সরকার, এ কে এম শাহজাহান কামাল, আব্দুল মজিদ খান ও মীর মোস্তাক আহম্মেদ রবি এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে জানানো হয়, দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ও প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত মেগা প্রকল্প পদ্মাসেতু বাস্তবায়ন কাজ চলমান রয়েছে। ইতোমধ্যে এই প্রকল্পের ৪৪ শতাংশ সার্বিক ভৌত কাজ সম্পন্ন হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বাকি কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হবে বলে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি)-এর পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজের অগ্রগতি ৬ মাস পিছিয়ে আছে। ঠিক এই মুহূর্তে যতখানি অগ্রগতি হয়েছে, তা ৬ মাস আগেই হওয়ার কথা ছিলো। কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়কে আরো সক্রিয় হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বৈঠক শেষে কমিটির সদস্য ও জাতীয় সংসদের হুইপ শহিদুজ্জামান সরকার সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মধ্যে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ করতে হবে। এ বিষয়ে আমরা মন্ত্রণালয়কে তাগিদ দিয়েছি। আইএমইডি সেতুর নির্মাণকাজ ৬ মাস পিছিয়ে আছে বলে দাবি করলেও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সেতুর কাজ শেষ করা সম্ভব হবে বলে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। কমিটি সূত্র জানায়, প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে সারাদেশে সড়ক, মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়কে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে বৈঠকে উল্লেখ করা হয়। অনেক সড়ক যান চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে যা মানুষের দূর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কমিটির পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলো দ্রুত সংস্কারের সুপারিশ করা হয়। একইসঙ্গে মহাসড়কে ক্ষমতার অতিরিক্ত মালবোঝাই ট্রাক যাতে চলাচল করতে না পারে সে বিষয়ে নজরদারি বাড়াতে বলা হয়। ক্ষতিগ্রস্ত সকল সড়ক ঈদের আগেই সংস্কার করার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে উল্লেখ করে হুইপ মো. শহীদুজ্জামান সরকার বলেন, ‘সামনে ঈদুল আযহা। ওই সময়ে মানুষের যাতায়াত বাড়বে। তাই দূর্ভোগ এড়াতে ঈদের আগেই সকল সড়ক ও মহাসড়ক সংস্কার করতে হবে। মন্ত্রণালয় কমিটিকে এবিষয়ে আশ্বস্ত করেছে।’ এদিকে বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালি পর্যন্ত ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণকাজ চলমান রয়েছে। গত জুন পর্যন্ত ওই প্রকল্পের ৫৮৯টি ওয়ার্কিং পাইল ড্রাইভিং, ৪৬টি পাইল ক্যাপসহ প্রথম ধাপ নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। আইএমইডি কর্তৃক ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের ১৪০টি প্রকল্প পরিদর্শন করা হয়। যার সার্বিক অগ্রগতি ৯৯ দশমিক ৭৬ভাগ। এই অগ্রগতিতে কমিটির বৈঠকে সন্তোষ প্রকাশ করা হয়। রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৬ জুলাই ২০১৭/এম এ রহমান/শাহনেওয়াজ