জাতীয়

‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার দায়ে জিয়ার মরণোত্তর বিচার হবে’

জবি প্রতিনিধি : ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার করা হবে। যারা প্রত্যক্ষভাবে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিলেন তাদের বিচার হয়েছে। কিন্তু যারা পরোক্ষভাবে ছিলেন তাদের বিচার হয়নি। তাদেরও মরণোত্তর বিচার করা হবে।’ বুধবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে জবি শিক্ষক সমিতি আয়োজিত ‘শোকাবহ আগস্ট’ শীর্ষক আলোচনা সভায় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এসব কথা বলেন। মন্ত্রী আরো বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে জনগণের কাছে আমাদের অঙ্গীকার হবে- বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর যারা পরোক্ষভাবে সুফল পেয়েছেন, তাদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো।’ বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বলেন, ‘আজকে যারা বলছেন, বঙ্গবন্ধু এ দেশের একক নেতা ছিলেন না, তাদেরকে বলতে চাই, তিনি একক নেতা ছিলেন। ৭ মার্চ তিনি যে বক্তব্য দিয়েছিলেন, এটা তারই প্রকাশ ছিল। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় তাকে ফাঁসি দেওয়ার চক্রান্ত করা হয়েছিল। পাকিস্তান বুঝতে পেরেছিল, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করলে এ দেশকে আবারও পাকিস্তানে পরিণত করা সম্ভব হবে। তাই স্বাধীনতাবিরোধীরা তাকে সপরিবারে হত্যা করেছিল। তার অবর্তমানে যারা দেশকে নেতৃত্ব দিত, সেই জাতীয় চার নেতাকে জেলহত্যার মাধ্যমে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, জীবিত মুজিব অপেক্ষা মৃত মুজিব অনেক বেশি শক্তিশালী।’ আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ‘আমরা যারা শেখ মুজিবের পাশাপাশি ছিলাম, তিনি আমাদের ছয় দফা দাবিকে এক দফায় পরিণত করে জনগণকে বুঝিয়ে দিতে বলেছিলেন সেই ঊনসত্তরেই। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে, নির্বাচনে আমরা জিতলেও পাকিস্তানিরা আমাদের হাতে ক্ষমতা দেবে না। এজন্য দেশকে মুক্ত করতে এক দফার কোনো বিকল্প ছিল না।’ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রিয়ব্রত পালের সভাপতিত্বে ও কার্যনিবাহী সদস্য শবনম শারমিন লুনার সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, উপাচার্য মীজানুর রহমান, ট্রেজারার সেলিম ভূইঁয়া। রাইজিংবিডি/ঢাকা/৯ আগস্ট ২০১৭/আশরাফুল/রফিক