জাতীয়

পবিত্র ঈদুল আজহা আজ

ডেস্ক রিপোর্টঃ  আজ পবিত্র ঈদুল আজহা । যথাযথ মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য পরিবেশে আজ সারা দেশে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হচ্ছে। আজ ঈদের নামাজের পর সামর্থ্যবানরা গরু, ছাগল, মহিষ, ভেড়া প্রাণী দ্বারা কোরবানি আদায় করবেন। নিয়ম অনুসারে কোরবানি করা পশুর মাংসের তিন ভাগের এক ভাগ গরিব-মিসকিন ও পাড়া-প্রতিবেশী, এক ভাগ আত্মীয়-স্বজনের মধ্যে বিলিয়ে দিতে হয়। আবার পুরোটাই বিলিয়ে দেওয়া যায়। রাজধানীতে এবার ৪০৯টি স্থানে পবিত্র ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত হবে। দেশের সবচেয়ে বড় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে। এ ছাড়া চট্টগ্রাম, রাজশাহী, রংপুর, খুলনা, বরিশাল, সিলেট ও ময়মনসিংহসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে। রাজধানীতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় জাতীয় ঈদগাহ ময়দানের প্রধান জামাতসহ ২২৯টি জামাতের আয়োজন করা হয়েছে। এ সিটি করপোরেশনের ৫৭ ওয়ার্ডের প্রতিটি ওয়ার্ডে চারটি করে জামাত অনুষ্ঠিত হবে। উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকার বিভিন্ন স্থানে অনুষ্ঠিত হবে ১৮০টি জামাত । এ সিটি করপোরেশনের ৩৬ ওয়ার্ডের প্রতিটিতে পাঁচটি করে জামাতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ইসলামের পরিভাষায় কোরবানি হলো—নির্দিষ্ট পশুকে একমাত্র আল্লাহর নৈকট্য ও সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট সময়ে তাঁরই নামে জবাই করা। মহান সৃষ্টিকর্তার দরবারে জবাই করা পশুর মাংস বা রক্ত কিছুই পৌঁছায় না, কেবল নিয়ত ছাড়া। কোরবানি শব্দের উৎপত্তিগত অর্থ হচ্ছে আত্মত্যাগ, আত্মোৎসর্গ, নিজেকে বিসর্জন। তাই ঈদুল আজহার অন্যতম শিক্ষা হচ্ছে মনের পশু অর্থাৎ কুপ্রবৃত্তিকে পরিত্যাগ করা। ঈদুল আজহা উপলক্ষে শুক্রবার থেকে তিন দিনের সরকারি ছুটি শুরু হয়েছে। টিভি চ্যানেলগুলো ঈদ উপলক্ষে কয়েক দিনব্যাপী বিশেষ অনুষ্ঠানমালা সম্প্রচার করছে। প্রতিবছরের মতো এবারও ঈদ উপলক্ষে রাজধানী ছেড়েছে লাখো মানুষ। ফলে রাজধানী অনেকটা ফাঁকা হয়ে এসেছে। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তাঁর বাণীতে কোরবানির শিক্ষা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্যকে ব্যক্তি ও সমাজজীবনে সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে জাতীয় উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার আহ্বান জানিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি দেশবাসীসহ বিশ্বের সব মুসলিম ভাই-বোনকে ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পবিত্র ঈদুল আজহার মর্মবাণী অন্তরে ধারণ করে নিজ নিজ অবস্থান থেকে জনকল্যাণমুখী কর্মকাণ্ডে অংশ নিয়ে বিভেদ-বৈষম্যহীন সুখী, সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী দেশবাসী ও বিশ্বের সব মুসলিম জনগোষ্ঠীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ঈদ মোবারক জানিয়ে বলেন, মহান আল্লাহর উদ্দেশে প্রিয় বস্তুকে উৎসর্গের মাধ্যমে তাঁর সন্তুষ্টি লাভের যে অনুপম দৃষ্টান্ত হজরত ইবরাহিম (আ.) স্থাপন করে গেছেন, তা বিশ্ববাসীর কাছে চিরকাল অনুকরণীয় ও অনুসরণীয় হয়ে থাকবে। ঈদুল আজহা উপলক্ষে কেন্দ্রীয় কারাগারসহ দেশের সব কারাগার, সরকারি হাসপাতাল, ভবঘুরে কেন্দ্র, বৃদ্ধাশ্রম এবং শিশু ও মাতৃসদনে উন্নত খাবার পরিবেশন করা হবে। রাইজিংবিডি/ঢাকা/২ সেপ্টেম্বর ২০১৭/নাসিম/এনএ