জাতীয়

সুষ্ঠু নির্বাচনে ব্যর্থ হলে ইসিকে আইনের আওতায় আনতে হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক : আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সবার কাছে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য না হলে নির্বাচন কমিশনকে আইনের আওতায় এনে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো দাবি জানিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। রোববার রাজধানীর আগারগাঁয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে অনুষ্ঠিত নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে সংলাপের সময় এসব দাবি জানায় দলটি। ইসিকে আইনের আওতায় আনার জন্য প্রয়োজনীয় আইন সংশোধন করার প্রস্তাব দিয়েছে দলটি। সেই সঙ্গে নির্বাচনের একদিন আগে কেন্দ্রে কেন্দ্রে সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি জানান তারা।  দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য মাওলানা সৈয়দ মো. ইউনুছ আহমাদের নেতৃত্বে ১১ সদস্যের এক প্রতিনিধি দল সংলাপে অংশ নেন। সংলাপে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা সভাপতিত্ব করেন। এ সময় অন্যান্য কমিশনার, ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলালুদ্দীন আহমদসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অংশ নেন। সংসদ সদস্য থাকা অবস্থায় কেউ যদি নির্বাচন করতে না পারে সেজন্য সংসদ ভেঙে নিয়ে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করার দাবি জানানো হয়।  সবার সুবিধার্থে অনলাইনে মনোনয়ন দাখিলের দাবিও জানায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। এছাড়া নির্বাচনী জামানত ১০ হাজার টাকা, সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক নির্বাচন পদ্ধতি প্রণয়নের জন্য আইন করা, নির্বাচনী ব্যয় কমানো, সবার জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টিসহ ১৫ দফা দাবি জানায় দলটি। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের উল্লেখ্যযোগ্য দাবিগুলো হচ্ছে- সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনকে সম্পূর্ণ দলীয়ে প্রভাবমুক্ত, স্বাধীন এবং শক্তিশালী করতে সর্বোচ্চ ক্ষমতা থাকতে হবে। এরপরও যদি সুষ্ঠু নির্বাচনে ব্যর্থ হলে এবং নির্বাচনকালীন পক্ষপাতিত্ব প্রমাণিত হলে নির্বাচন কমিশনকে আওতায় এনে জবাবদিহিতার জন্য আইনি কাঠামো প্রণয়ন করা। গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের স্বার্থে সর্বোচ্চ আদালত কর্তৃক পর্যক্ষণের ব্যবস্থা রাখা। নির্বাচন কমিশনের এমন ক্ষমতা থাকতে হবে যে, কোনো দল ও তাদের সহযোগী সংগঠনসমূহের নেতা-কর্মীরা যদি দুর্নীতি, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজিসহ নৈরাজ্য করে সে দলের নিবন্ধন বাতিল করতে পারবে। এই মর্মে প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়ন করা। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, কার্জকর সংসদ ও জাতীয় সংহতি প্রতিষ্ঠার পূর্বশর্ত হলো কালো টাকা, পেশি শক্তি ও দলীয় প্রভাবমুক্ত অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। দেশি–বিদেশি সাংবাদিক ও নির্বাচনী পর্যবেক্ষকদের ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণে কোনোরূপ বাধার  সৃষ্টি না করা। একাদশ সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার না করা। কারণ বাংলাদেশের সাধারণ নাগরিক এখন সম্পূর্ণরূপে ইভিএমের সঙ্গে পরিচিত নয়। সুষ্ঠু ও  দলীয় প্রভাবমুক্ত নির্বাচনের লক্ষ্যে সংসদ সদস্য থাকা অবস্থায় কেউ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না। তাই একাদশ সংসদ নির্বাচনের পূর্বে বর্তমান সংসদ ভেঙে দিয়ে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করা। এছাড়া প্রার্থীসহ নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত সবার প্রয়োজনীয় নির্বাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে দলটি। রাইজিংবিডি/ঢাকা/১০ সেপ্টেম্বর ২০১৭/হাসিবুল/মুশফিক