জাতীয়

‘বন্যার সংস্কার কাজে হরিলুটের কথা সঠিক নয়’

নিজস্ব প্রতিবেদক : বন্যা পরবর্তী সময়ে সংস্কার কাজে পত্রপত্রিকায় শত শত কোটি টাকা হরিলুটের কথা বলা হলেও, তা সঠিক নয় বলে মন্তব্য করেছেন পানিসম্পদ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘এবারের বন্যায় গাফিলতি বা অব্যবস্থাপনার কারণে হয়নি, হয়েছে অতিরিক্ত পানির প্রবাহ ও বৃষ্টিপাত হওয়ার কারণে।’ বৃহস্পতিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ২০১৭ সালের বন্যা পরিস্থিতি ও করণীয় শীর্ষক সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) এ সংলাপের  আয়োজন করে। বন্যা নিয়ে বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশিত সংবাদ প্রসঙ্গে   আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, সকল মিডিয়ায় বন্যা হয়েছে লেখা হয়, কেন হচ্ছে সেটা কোনো মিডিয়ায় আসে না। তিনি বলেন, এবারের বন্যা গাফিলতি বা অব্যবস্থাপনার কারণে হয়নি, হয়েছে অন্য কারণে। এ বছরের মতো পানির প্রবাহ ও বৃষ্টিপাত আর হয়নি। তবে এ বছর বন্যা দীর্ঘমেয়াদী ছিল না, অধিকাংশ জায়গার পানি ৫-৬ দিনেই নেমে গেছে। কিছু এলাকায় পানি আছে। মন্ত্রী বলেন, বন্যা পরবর্তীতে হাওর এলাকায় রাস্তা সংস্কারে বরাদ্দ মাত্র ২০ কোটি টাকা। সারাদেশে মিলে তা কয়েকশ’ কোটি টাকা হবে। সুতরাং এখানে হরিলুট করার সুযোগ নেই। তিনি আরো বলেন, বন্যা পরিস্থিতি সংস্কারে পত্রপত্রিকায় শত শত কোটি টাকা হরিলুটের কথা বল হলেও তা সঠিক নয়। কারণ, এ বাবদ বরাদ্দই কম। তবে অনিয়ম বা লুট যে হয় না তা নয়, কিন্তু তাকে হরিলুট বলা যায় না। তিনি বলেন, কৃষি মন্ত্রণালয় চায় হাওরে কৃষকরা বিআর২৮ চাষ করুক। ফসল একমাস আগে উঠবে, বন্যার ক্ষতি কম হবে। কিন্তু চাষীরা বিআর-২৯ ই উৎপাদন করবে। আনিসুল ইসলাম বলেন, আমাদের বাঁধগুলোতে অনেক বেশি অত্যাচার করা হয়। ফসল তুলতে বাঁধ কাটা হয়। বাঁধে গরু, ছাগল রাখা হয়। ঘরবাড়ি তোলা হয়। ফলে বাঁধ রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়ে। হাওরে অন্তত ৫০০ জায়গায় ফসল তুলে বাঁধ কাটা হয়েছে। এগুলো মেরামতের মাটি তো বাইরে থেকে আনতে পারছি না। হাওরের মাটি দিয়েই পূরণ করতে হবে। ডিসেম্বরের আগে কাজ শুরু সম্ভব না, পানি নামলে কাজ শুরু হবে। আলোচনা সভায় পরিবেশবিদ আইনুন নিশাদ বলেন, চলতি বছর বন্যায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে রাস্তাঘাট বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। এখন এসব সংস্কারের নামে অর্থ হরিলুট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি ধীরেন্দ্র দেবনাথ, সিপিডির ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য সংলাপে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা, এনজিও প্রতিনিধিসহ বিশিষ্টজনরা আলোচনায় অংশ নেন। রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৯ অক্টোবর ২০১৭/এম এ রহমান/সাইফ