জাতীয়

ভাসানচর-ঠেঙ্গারচরকে সন্দ্বীপে অন্তর্ভুক্তির দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক : নোয়াখালীর হাতিয়ার ভাসানচর-ঠেঙ্গারচরকে চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার সাথে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়েছে সন্দ্বীপ সীমানা রক্ষা কমিটি। শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে এ দাবি জানানো হয়। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, নদী ভাঙনের ফলে দ্বীপের হাজার হাজার মানুষ গৃহহারা ও ভূমিহীন হয়ে বেড়িবাঁধের ওপর মানবেতর জীবন যাপন করছে। এই অবস্থায় সন্দ্বীপের প্রাক্তন ইউনিয়ন নেয়ামস্তি ও সুলতানপুরের জায়গায় জেগে ওঠা ভাসানচর নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। সন্দ্বীপের এই চরটিকে সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন গণমাধ্যম হাতিয়া দ্বীপের বলে উল্লেখ করছে। বিশেষ করে রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনকে কেন্দ্র করে সন্দ্বীপের এই চরের নাম গণমাধ্যমে বারবার আসছে। তারা আরও বলেন, ভাসানচরে গত ১০ বছর ধরে বনায়ন করছে বনবিভাগ। ভাসানচরের দূরত্ব সন্দ্বীপ থেকে মাত্র ৪ কিলোমিটার। হাতিয়া থেকে এর দূরত্ব ২২ কিলোমিটার। নোয়াখালী সদর থেকে আরও বেশি। তাহলে কিভাবে এই চর হাতিয়া বা নোয়াখালীর বলে দাবি করা হয়? যেখানে এই চর জেগে উঠেছে ঠিক সেখানেই আগে ছিল সন্দ্বীপের নেয়ামস্তি ও সুলতানপুর ইউনিয়ন। হাতিয়া বা নোয়াখালীর কোনো জনপদ সেখানে ছিল না। সুতরাং এই চর নিয়ে নোয়াখালী বা হাতিয়া দ্বীপের দাবি অসত্য ও অযৌক্তিক। মানববন্ধনে সীমানা রক্ষা আন্দোলনের আহ্বায়ক মোশারফ হোসেন খাদেমের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন নুরুল আক্তার, জয়বাংলা মঞ্চের সভাপতি মুফতি মাসুম বিল্লাহ নাফেয়ী, আশরাফ আলী হাওলাদার, সন্দ্বীপের বাসিন্দা শামসুল কবির খান, মনিরুল হুদা বাবর, ইঞ্জিনিয়ার আবদুল হান্নান, কাজী মঞ্জু, আলীফ আলী।

   

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২০ অক্টোবর ২০১৭/মামুন খান/শাহনেওয়াজ