জাতীয়

হালকা অনুভব করছি : সিইসি

নিজস্ব প্রতিবেদক : তিন মাস ধরে ধারাবাহিক সংলাপের শেষ দিনে এসে নির্বাচন কমিশনের প্রাক্তন সদস্য ও আমলাদের পেয়ে উচ্ছ্বাসিত প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা। সংলাপের শেষ দিনে সিইসি নিজেকে হালকা অনুভব করছেন। মঙ্গলবার নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে নির্বাচন পরিচালনা বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে সূচনা বক্তব্যে সিইসি এ অনুভূতি প্রকাশ করেন। এদিকে নির্বাচন কমিশনের সংলাপে অংশ নেননি বিচারপতি এম এ আজিজ কমিশন। প্রাক্তন প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিচারপতি আব্দুর রউফ ও সিইসি এটিএম শামসুল হুদা উপস্থিত ছিলেন। প্রাক্তন সিইসি মোহাম্মদ আবু হেনা ও কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ অনুপস্থিত থাকলেও তাদের কমিশনের সদস্য ও প্রাক্তন সচিবরা সংলাপে অংশ নেন। আমন্ত্রিত বিশেষজ্ঞদের স্বাগত জানিয়ে সিইসি সূচনা বক্তব্যে বলেন, ফেলে আসা দিনগুলোর দিকে ফিরে তাকানোর সুযোগ হলো। এ সুযোগে আপনাদের স্বাগত, ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। সুশীল সমাজ, গণমাধ্যমের প্রতিনিধি, ৪০টি নিবন্ধিত দল, পর্যবেক্ষক ও নারী নেত্রীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছে ইসি। নূরুল হুদা বলেন, প্রায় তিন মাস ধরে অনেক মূল্যবান কথা শুনেছি, অনেক ভারি ভারি কথা শুনেছি। আজ আপনাদের পেয়ে অনেকটা হালকা অনুভব করছি। প্রাক্তন সিইসি, নির্বাচন কমিশনারদের পেয়ে তাদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর কথা জানান নূরুল হুদা। ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, ‘সংলাপের সময় আমরা সকল দল ও প্রার্থীদের জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি করা, সকলের সঙ্গে কথা বলে নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা করা, নির্বাচনের সময় সকল গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়গুলোকে কমিশনের অধীনস্ত করা, নির্বাচনের আগে ও পরে সন্ত্রাস দমনের ব্যবস্থা করা, একই মঞ্চে নির্বাচন প্রচারণার ব্যবস্থা করা, নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে দ্রুত মামলার নিষ্পত্তি করা, নিবন্ধিত দলগুলোর পরামর্শ নিয়ে একটি জাতীয় ফোরাম করা, সেনাবাহিনী মোতায়েনের পক্ষে-বিপক্ষে, ইভিএম ব্যবহার করার পক্ষে-নিপক্ষে, সীমানা নির্ধারণ করা, প্রবাসীদের ভোটাধিার দেওয়ার সুযোগ দেওয়া, না ভোটের বিধান চালু করা, অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া, সকল আইন বাংলায় করা, সংরক্ষিত নারী আসন বৃদ্ধি করাসহ বিভিন্ন প্রস্তাব পেয়েছি। প্রাক্তন নির্বাচন কমিশনারদের মধ্যে সংলাপে উপস্থিত ছিলেন- মুহাম্মদ ছহুল হোসাইন, এম সাখাওয়াত হোসেন, মোহাম্মদ আবদুল মোবারক, আবু হাফিজ, মো. শাহনেওয়াজ। প্রাক্তন সচিবদের মধ্যে ছিলেন-আবদুল করিম, মনজুর হোসেন, হুমায়ুন কবীরসহ স্বরাষ্ট্র, জনপ্রশাসন, স্থানীয় সরকার, পুলিশ ও মন্ত্রণালয়ের কয়েকজন প্রাক্তন শীর্ষ কর্মকর্তা। নির্বাচন বিশেষজ্ঞ হিসেবে ২৬ জনকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও ১৬ জন উপস্থিত ছিলেন। রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৪ অক্টোবর ২০১৭/হাসিবুল/ইভা/সাইফুল