জাতীয়

৩৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে সমঝোতা স্মারক সই

নিজস্ব প্রতিবেদক : পটুয়াখালী জেলার পায়রায় লিকুইফাইড ন্যাচারাল গ্যাস (এলএনজি) ভিত্তিক ৩৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জন্য একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়েছে।  রোববার রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনে নর্থ ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেড (এনডব্লিউপিজিসিএল) এবং জার্মানির সিমেন্স এজির মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়।   এনডব্লিউপিজিসিএল’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার খুরশীদ আলম ও সিমেন্স সাউথ এশিয়ার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুনীল মাথুর নিজ নিজ পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানিবিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ ও জার্মান রাষ্ট্রদূত ড. টমাস প্রিনজ  উপস্থিত ছিলেন।   তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী বলেন, বিদ্যুৎ খাতের আধুনিক যন্ত্রপাতি চালনার জন্য দক্ষ করে তুলতে কর্মশালা ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য সহায়ক হবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ভবিষ্যতে কর্মশালা ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম আয়োজনের অনুরোধ জানান তিনি। প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, পটুয়াখালীর ধানখালীতে বৃহৎ বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।  এ বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রতিটি ৬০০ মেগাওয়াটের মোট ছয়টি ইউনিট হবে। আগামী ২০২১ সাল নাগাদ ৩৬০০ মেগাওয়াট  বিদ্যুৎ এ কেন্দ্র থেকে উৎপাদনে সক্ষম হবে। আগামী জুনের মধ্যেই নির্মাণকাজ শুরু হয়ে যাবে। এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিনিয়োগকে জার্মানির একক বৃহত্তম বিনিয়োগ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার ঋণ এবং ৪০০ মিলিয়ন ডলার ইক্যুইটিসহ এতে আনুমানিক ব্যয় দাঁড়াবে ২ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের প্রতি আস্থা প্রদর্শন করে জার্মান সরকার এই বৃহত্তম বিনিয়োগে এগিয়ে এসেছে। বাংলাদেশে জার্মান রাষ্ট্রদূত ড. টমাস প্রিনজ বলেন, রোহিঙ্গা সংকটে জার্মান সরকার বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছে। তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশের একটি নির্ভরযোগ্য উন্নয়ন অংশীদার হতে আগ্রহী এবং জার্মান বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের একক বৃহত্তম ক্রেতা। জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আগামী ১৯ নভেম্বর বাংলাদেশ সফর করবেন বলেও জানান তিনি। রাইজিংবিডি/ঢাকা/৫ নভেম্বর ২০১৭/আসাদ/মুশফিক