জাতীয়

সব পোস্ট অফিসে ইএমটিএস সেবা চালু করা হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক : পর্যায়ক্রমে দেশের সব পোস্ট অফিসে মোবাইলের মাধ্যমে টাকা পাঠানো সেবা ইএমটিএস চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে সরকারি দলের সদস্য হাবিবুর রহমানের টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। তারানা হালিম জানান, বর্তমানে ২ হাজার ৭৫০টি পোস্ট অফিসে মোবাইলের মাধ্যমে টাকা পাঠানো সেবা ইএমটিএস চালু রয়েছে। এছাড়া এজেন্টের মাধ্যমে ২৬ হাজার আউটলেটে ইএমটিএস সার্ভিস চালু করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব ডাকঘরে এ সেবা সম্প্রসারণ করা হবে। সরকারিদলের সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নিরাপদে দেশের ভেতরে একস্থান থেকে অন্যস্থানে টাকা পরিবহনের লক্ষ্যে ‘পোস্টাল ক্যাশকার্ড’ নামে একটি সার্ভিস প্রবর্তন করা হয়েছে। সারাদেশে এ পর্যন্ত ১ হাজার ৩৭৪টি পোস্টাল ক্যাশকার্ড সার্ভিস পিওএস মেশিনের মাধ্যমে চালু রয়েছে। সরকারিদলের সদস্য বজলুল হক হারুনের টেবিলে উপস্থাপিত তারকা চিহ্নিত এক প্রশ্নের জবাবে তারানা হালিম বলেন, মোবাইল সেটের অবৈধ আমদানি বন্ধ করতে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের আওতায় টেলিফোন শিল্প সংস্থার (টেশিস) মাধ্যমে সরকার মোবাইল ফোন সেট উৎপাদন ও বিপণনের উদ্যোগ নিয়েছে। তিনি আরো বলেন, ২০১৪ সালে এ ব্যাপারে ওকে মোবাইল লিমিটেড ও টেশিস’র মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তি মোতাবেক টেশিসে মোবাইল ফোন সেট উৎপাদন ও সংযোজন প্লান্ট স্থাপন করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ৩৭ হাজার মোবাইল ফোন সেট এবং ৮০০ ট্যাব উৎপাদন ও সংযোজন করে বাজারজাত করা হয়েছে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দেশে ১৩ কোটি ৫৯ লাখ ৮২ হাজার মোবাইল গ্রাহক রয়েছে এবং দিন দিন গ্রাহক সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে দেশে মোবাইল ফোন সেটের বাজার ৮ হাজার কোটি টাকার। এই চাহিদা পূরণ করতে বিপুলসংখ্যক মোবাইল সেট আমদানি করতে হয়। যার ফলে প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকার সমপরিমাণ মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা বিদেশে চলে যাচ্ছে। তিনি বলেন, বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মূদ্রা সাশ্রয়, সুদক্ষ কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন জনবল সৃষ্টি, এ খাতে কাঙ্খিত বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণ, দেশে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, অবৈধ আমদানি বন্ধ, দেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য নতুন ক্ষেত্র তৈরি, প্রান্তিক পর্যায়ে সকল গ্রাহকের হাতে স্মার্টফোন সরবরাহ নিশ্চিত করে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ব্যাপক হারে বাড়ানোর মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে দেশে মোবাইল ফোন সেট উৎপাদন, সংযোজন ও বিপণনে উৎসাহ প্রদান করা হয়। তারানা হালিম বলেন, মোবাইল ফোন সেট সংযোজন ও উৎপাদনের জন্য যন্ত্রপাতি আমদানির ক্ষেত্রে সরকার ১ শতাংশ আমদানি শুল্ক নির্ধারণ করেছে। রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৪ নভেম্বর ২০১৭/হাসান/সাইফ