জাতীয়

কাল শেষ হচ্ছে আনন্দ মেলা

নিজস্ব প্রতিবেদক : আগামীকাল শনিবার রাতে শেষ হচ্ছে আনন্দ মেলা। আজ ছিল আনন্দ মেলার দ্বিতীয় দিন। রাজধানীর অফিসার্স ক্লাব চত্বরে তিন দিনব্যাপী এ মেলা শুরু হয় গত বৃহস্পতিবার। মেলায় দোকান বসেছে ১৪৫টি। মেলায় প্রবেশমূল্য ১০ টাকা। প্রতিদিন সকাল ১০টায় শুরু হয়ে চলে রাত ৯টা পর্যন্ত। মেয়েদের পোশাকের বিক্রি বেশ ভালোই হচ্ছে। তবে অন্যান্য পণ্যের বিক্রি কম বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। তা ছাড়া মেলায় প্রবেশের জন্য টিকিট থাকায় আশপাশ দিয়ে যাওয়া ক্রেতা দর্শনার্থীদের প্রবেশে অনীহা রয়েছে বলেও ধারণা করেন কোনো কোনো বিক্রেতা। স্টল বরাদ্দের জন্য আয়োজন কমিটি যে পরিমাণ টাকা নিয়েছেন, সেটিও বেশি বলে মনে করছেন কেউ কেউ। তারা আগামীতে টাকা কমিয়ে আনার দাবি জানিয়েছেন। রান্না ও হ্স্তশিল্পের স্টোর স্বীকৃতি একাডেমি। এখানে বিভিন্ন ধরনের হস্তশিল্পের পণ্য রয়েছে। এই স্টোরের স্বত্বাধিকারী শবনম নার্গিস জানান, তেমন একটা বিক্রি হচ্ছে না। সাড়া কম। তিনি বলেন, ‘তেমন একটা প্রচার নেই। লোকে জানে না। তাই লোক সমাগম কম। মেলায় প্রবেশে টাকা লাগায় অনেকেই হয়ত প্রবেশ করেন না। প্রচারেই প্রসার। প্রচার বেশি হলে লোকও বেশি আসত। বিক্রিও ভালো হতো। তা ছাড়া স্টল বরাদ্দ নিতে টাকাও বেশি দেওয়া লেগেছে। তিন দিনের জন্য স্টল বরাদ্দ নিতে ৮ হাজার টাকা দেওয়া লেগেছে। সে তুলনায় লাভ করা যাবে না।’ তিনি স্টল বরাদ্দের জন্য আগামীতে টাকা কমানোর দাবি জানান। নারীদের পোশাকের অনলাইনভিত্তিক একটি একটি প্রতিষ্ঠানে স্বত্বাধিকারী অদিতি হাসান বলেন, ‘আমরা বেশ সাড়া পাচ্ছি। বিক্রি ভালোই। আমাদের এখানে স্টল নেওয়ার কারণ হচ্ছে ক্রেতারা অনলাইনে আমাদের পণ্য দেখেন। এখানে আসলে ধরে-দেখে বুঝতে পারবেন আমাদের পণ্য কেমন। সেই উদ্দেশ্যে আমাদের এখানে স্টল দেওয়া।’ তিনি জানান, দেশি কুর্তি, পাকিস্তানি কুর্তি, দেশি কারচুপি কাজের পোশাকের চাহিদা বেশি। আরেক স্টল মালিক জানান, দামের দিকে থেকে একবারে কমও না বা একেবারে বেশিও না, মাঝামাঝি দামের পোশাকের দিকে ক্রেতাদের নজর। অনলাইনভিত্তিক শ্রাবণ ফ্যাশনের স্বত্বাধিকারী শ্রাবণ জানান, ইন্ডিয়ান মেয়েদের পোশক বেশ ভালোই চলছে। বৃহস্পতিবার মেলা উদ্বোধন করেছেন নারী ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি। অফিসার্স ক্লাবের নারী শাখা এ আনন্দ মেলার আয়োজন করেছে। মেলায় পোশাক, ঘর-গৃহস্থালি ও কারু পণ্যসহ শাড়ি, সেলোয়ার-কামিজের পাশাপাশি রয়েছে বাহারি নকশা ও রং-বেরঙের শীতের পোশাক। রয়েছে জুয়েলারি পণ্যের দোকান ও আবাসন প্রতিষ্ঠানের স্টল। খাবারের স্টলে পাওয়া যাচ্ছে শীতের ভাপা ও চিতই পিঠা, কাবাব, লুচি, গরম গরম জিলাপি ও মধু। এ ছাড়া বিছানার চাদর, সোফার কুশন-কাভার, সেলাই ছাড়া থ্রি-পিস শাল, সোয়েটার ইত্যাদি। অনেকে আবার পর্দা আটকানো, ফ্রিজের হাতল ধরার কাপড়ের মত অপ্রচলিত কিন্তু প্রয়েজনীয় পণ্যের পসরা নিয়ে এসেছেন মেলায়। রাইজিংবিডি/ঢাকা/৮ ডিসেম্বর ২০১৭/সাওন/সাইফুল