জাতীয়

জাতীয় জরুরি সেবা ‘৯৯৯’ এর উদ্বোধন মঙ্গলবার

সচিবালয় প্রতিবেদক : আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের মধ্যে দিয়ে শুরু হতে যাচ্ছে জাতীয় জরুরি সেবা- ৯৯৯ এর কার্যক্রম। এর ফলে দেশের মানুষের দোরগোড়ায় সহজেই পৌঁছাবে জরুরি ফায়ার সার্ভিস, অ্যাম্বুলেন্স ও পুলিশি সেবা। মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এ জাতীয় জরুরি সেবার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। উন্নত দেশে যে কেউ মোবাইল ফোনের মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট নম্বরে সম্পূর্ণ ‘টোল ফ্রি’ কল করে জরুরি পুলিশি সেবা, ফায়ার সার্ভিস বা অ্যাম্বুলেন্স সেবা নিতে পারেন। বাংলাদেশেও চালু হচ্ছে এটি। পুলিশ সদর দপ্তর সূত্র জানায়, জরুরি সেবার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। বিশেষ অতিথি থাকবেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন। সভাপতিত্ব করবেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক। উদ্বোধনের পর দেশের বিপুল জনগোষ্ঠীর জরুরি সেবা নিশ্চিত করতে কল সেন্টারটি সার্বক্ষণিক কার্যক্রম পরিচালনা করবে। এখন যেকোনো ব্যক্তি জরুরি প্রয়োজনে ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস বা অ্যাম্বুলেন্স সেবা নিতে পারবেন। এরই মধ্যে এই কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দেশের ৬৪ জেলায় ৯৯৯ এর ব্যবহার, প্রচার ও কমিউনিটি সেফটি অ্যাওয়ারনেস কর্মশালা সম্পন্ন হয়েছে। পুলিশ সদর দপ্তর জানায়, ২০১৫ সালের অক্টোবর মাসে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ প্রথম ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি সার্ভিস-৯৯৯ এর কাঠামো তৈরির কাজ শুরু করে। ৯৯৯ নম্বরের মাধ্যমে জনগণকে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, অ্যাম্বুলেন্স ও অন্যান্য জরুরি সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে ২০১৬ সালের ১ অক্টোবর থেকে চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত এ সার্ভিসটির পরীক্ষামূলক কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এই সেবার কারিগরি ও প্রযুক্তিগত কাঠামো যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবহৃত ৯১১, যুক্তরাজ্যে ব্যবহৃত ৯৯৯ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নে ব্যবহৃত ১১২ এর আদলে তৈরি করা হয়েছে। এই কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে সর্বস্তরের জনগণের জন্য টেলিফোন ও মোবাইল ফোনভিত্তিক অভিন্ন হেল্প ডেস্ক চালু করা। কারণ, আগে ব্যবহৃত ৯৯৯ নম্বরে শুধু টিঅ্যান্ডটি ফোন থেকে কল করা যেত। এর ফলে রাস্তাঘাটে বিভিন্ন স্থানে অপরাধ বা দুর্ঘটনা হলে মানুষ পুলিশকে তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারত না। বর্তমানে মোবাইল ফোনে তথ্যের আদান-প্রদান সুবিধাজনক হওয়ায় অপরাধ বা দুর্ঘটনা দেখামাত্রই যে কেউ ঘটনাস্থল থেকে ৯৯৯ নম্বরে জানাতে পারবেন। ৯৯৯ জরুরি সেবাকে পূর্ণাঙ্গভাবে পরিচালনার জন্য তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করা হয়। পরবর্তী সময়ে এই জরুরি সেবা কার্যক্রম বাংলাদেশ পুলিশের মাধ্যমে পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পুলিশের অধীনে পরিচালিত জাতীয় জরুরি সেবা-৯৯৯ প্রদান পদ্ধতিতে এই প্রথমবারের মতো সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। রাইজিংবিডি/ঢাকা/১১ ডিসেম্বর ২০১৭/হাসান/রফিক