জাতীয়

কথাসাহিত্যিক রবিশংকর বল আর নেই

রাইজিংবিডি ডেস্ক : কথাসাহিত্যিক, সাংবাদিক ও লেখক রবিশংকর বল আর নেই। মঙ্গলবার ভোর ৪টায় তিনি মারা যান। পশ্চিমবঙ্গের কথাসাহিত্যিক অমর মিত্র মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, কয়েক দিন ধরেই রবিশংকর কলকাতার বিআরসিং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। শারীরিক অবস্থার অবনতি  হওয়ায় তাকে ভেন্টিলেশন দেওয়া হয়েছিল। রবিশংকর বলের জন্ম ১৯৬২ সালে। তিনি ১৫টির বেশি উপন্যাস লিখেছেন। এ ছাড়া রয়েছে পাঁচটি ছোটগল্পের সংকলন। কবিতা ও শিল্পসাহিত্যবিষয়ক প্রবন্ধও রচনা করেছেন তিনি। সম্পাদনা করেছেন উর্দু লেখক সাদত হাসান মান্টোর নির্বাচিত রচনার বাংলা অনুবাদ সংকলন। ‘দোজখ্‌নামা’ উপন্যাস লিখে খ্যাতি অর্জন করেছেন। উপন্যাসটির জন্য পেয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ সরকার প্রবর্তিত বঙ্কিমচন্দ্র স্মৃতি পুরস্কার। এদিকে রবিশংকর বলের মৃত্যুতে তরুণ কথাসাহিত্যিক স্বকৃত নোমান তার ফেসবুক স্টেট্যাসে এক শোকবার্তায় লিখেছেন, পশ্চিম বাংলার সমকালীন যেসব লেখকের লেখাজোখা মনযোগ দিয়ে পড়ি, রবিশংকর বল ছিলেন তাঁদের একজন। কবরে শুয়ে শুয়ে মীর্জা গালিব ও সা’দত হাসান মান্টো সংলাপ করছে―তাঁর দোজখনামা উপন্যাসের এই আঙ্গিকটা অসাধারণ লেগেছিল। তাঁর অকালপ্রয়াণে বিচলিত হয়েছি। বেঁচে থাকলে বাংলা সাহিত্য আরো সৃমদ্ধ হতো। তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা। গল্পকার মাসউদ আহমাদ লিখেছেন, গল্পকার-ঔপন্যাসিক রবিশংকর বল চলে গেলেন! সকালবেলায়, আমি নিজে এত অসুস্থ, তবুও তার মৃত্যুর খবরে মনটা বিষণ্নতায় ভরে গেল। তার সঙ্গে প্রথমবার কথা হয়েছিল ফেসবুকে। তার গল্প পছন্দ করি। রবিশংকরের গল্পের সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন কথাশিল্পী হামীম কামরুল হক। অন্যরকম গল্প লিখতেন তিনি। উপন্যাসও। 'দোজখনামা' তার বিশেষ উপন্যাস। গত বছর আমার সম্পাদিত ছোটকাগজ গল্পপত্র-তে তিনি একটি লেখা দিয়েছিলেন, গল্পভাবনা। পরে, মার্চ মাসে কলকাতায় গিয়ে খুবই অল্প সময়ের জন্য তার সঙ্গে দেখা হয়েছিল। কিন্তু দুঃখ এই, সেই সময় হাতে গল্পপত্রের কপিটি ছিল না। তারও তাড়া ছিল। তাই দিতে পারিনি। আপনি ভালো থাকবেন, প্রিয় গল্পওয়ালা। প্রিয় রবিশংকর বল। আপনাকে অনেক ভালোবাসা ও শুভেচ্ছা জানাই। রাইজিংবিডি/ঢাকা/১২ ডিসেম্বর ২০১৭/সাইফ/ইভা