জাতীয়

সাধারণ পরিষদে বাংলাদেশের শান্তির সংস্কৃতি প্রস্তাব গৃহীত

সচিবালয় প্রতিবেদক : প্রতিবছরের মতো এবারও জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে বাংলাদেশের উত্থাপিত ‘শান্তির সংস্কৃতি’ প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে। মঙ্গলবার সরকারি এক তথ্য বিবরণীতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে জানানো হয়েছে, গতকাল ১১ ডিসেম্বর সাধারণ পরিষদের এক সভায় উপস্থিত সকল সদস্য রাষ্ট্রের সমর্থনে এই প্রস্তাব গৃহীত হয়। বাংলাদেশের পক্ষে স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেন প্রস্তাব উপস্থাপন করেন। প্রস্তাব উপস্থাপনকালে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগতভাবে এ বিষয়টির প্রতি বিশেষ আগ্রহ রয়েছে। এ কারণে তিনি সমাজের সবাইকে সাথে নিয়ে জাতীয় পর্যায়ে ‘শান্তির সংস্কৃতি’ বিনির্মাণে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি আরো বলেন, সকল মানুষই শান্তির সংস্কৃতিপ্রত্যাশী। আর শান্তির সংস্কৃতির বিকাশ ও চর্চা হচ্ছে বিভেদ এবং বিভাজনের মতো বিষয়গুলোকে সৃজনশীলতার মাধ্যমে সমাধান করা। এই প্রস্তাবের মূল প্রতিপাদ্য- অসহিষ্ণুতা ও ঘৃণা সমাজ থেকে দূরীভূত হলে বিশ্বে শান্তি দীর্ঘায়িত ও সুপ্রতিষ্ঠিত হবে। এবারের প্রস্তাবে শিশু ও যুবাদের প্রতি বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, যাতে তারা শান্তি, সহিষ্ণুতা, উদারতা এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের মতো মানবিক গুণের চর্চার মাধ্যমে সমাজে শান্তির সংস্কৃতি বিকাশে আরো নিবিড়ভাবে সম্পৃক্ত হতে পারে। এ বছর বিশ্বের ৬০টি দেশ বাংলাদেশের এই প্রস্তাব কো-স্পন্সর করেছে। সকল সদস্য রাষ্ট্রই প্রস্তাব বাস্তবায়নে একযোগে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ১৯৯৭ সালে ‘শান্তির সংস্কৃতি’ ধারণাটি প্রথম উপস্থাপন করে। যা সাধারণ পরিষদে প্রস্তাব হিসেবে পাশ হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ‘শান্তির সংস্কৃতি দশক’ বিশ্বব্যাপী উদযাপিত হয়। ২০০০ সাল থেকে প্রতিবছর বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন এ প্রস্তাবটি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে উপস্থাপন করে আসছে, যা প্রতিবছরই সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হচ্ছে। রাইজিংবিডি/ঢাকা/১২ ডিসেম্বর ২০১৭/হাসান/রফিক