জাতীয়

এবারের উন্নয়ন মেলা ১১ জানুয়ারি থেকে

সচিবালয় প্রতিবেদক : এবার দ্বিতীয়বারের মতো তিন দিনের উন্নয়ন মেলা শুরু হবে ১১ জানুয়ারি থেকে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ১১ জানুয়ারি সকাল ১০টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সব জেলা-উপজেলায় ‘উন্নয়ন মেলা-২০১৮’এর উদ্বোধন করবেন।  গত বছর একযোগে দেশের ৬৪টি জেলায় অনুষ্ঠিত হয় উন্নয়ন মেলা। সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরতে ‘উন্নয়নের গণতন্ত্র, শেখ হাসিনার মূলমন্ত্র’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে দেশে প্রথমবারের মতো জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এই মেলার আয়োজন করা হয়। জানা গেছে, প্রাথমিকভাবে ২০১৮ সালের ‘উন্নয়ন মেলা’ ৯ থেকে ১১ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের কর্মসূচির কারণে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্তে এই মেলার সময়সূচিতে কিছুটা পরিবর্তন করা হয়েছে। নতুন সময়সূচি অনুযায়ী ১১ থেকে ১৩ জানুয়ারি এই উন্নয়ন মেলা অনুষ্ঠিত হবে। বর্তমান সরকারের সময় নেওয়া বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের সঙ্গে দেশের প্রান্তিক জনগণসহ আপামর জনগোষ্ঠীকে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে এ উন্নয়ন মেলা। গত বছর প্রথমবারের মতো ‘উন্নয়নের গণতন্ত্র, শেখ হাসিনার মূলমন্ত্র’ এই শ্লোগানকে ধারণ করে ২০২১ সালের মধ্যে ‘ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ’ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ‘উন্নত বাংলাদেশ’ গঠনে সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম জনসাধারণের সামনে তুলে ধরতে দেশজুড়ে উন্নয়ন মেলার আয়োজন করা হয়। রাজধানীতে ঢাকা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জাতীয় শিল্পকলা একাডেমিতে এ মেলার আয়োজন করা হয়। এ মেলায় দেশের সব মন্ত্রণালয়, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, পুলিশ, আনসার, অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পৃথক পৃথক স্টল ছিল। এতে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, দপ্তর, অধিদপ্তর, ব্যাংক, বিমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ ৮৮টি সরকার নিয়ন্ত্রণাধীন প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করে। এসব সরকারি, আধা-সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার পক্ষ থেকে মেলায় আগত লোকদের সামনে তাদের নিজ নিজ সংস্থার উন্নয়ন কার্যক্রম তুলে ধরে। সরকারি সংস্থাগুলোর সেবাসমূহ মেলাস্থল থেকে সরাসরি প্রদান করে। এবারো এমন আয়োজন থাকবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। জানা গেছে, আগামী বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত এবারের উন্নয়ন মেলা অনুষ্ঠিত হবে। তিন দিনব্যাপী মেলায় থাকবে আলোচনা সভা। তাছাড়া সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমেও দেশের মুক্তিযুদ্ধ ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের নানা দিক তুলে ধরা হবে। দেশবরেণ্য শিল্পী-কলাকুশলীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান থাকবে মেলা চলাকালীন প্রতিদিন বিকেলে। আয়োজন করা হয়েছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক কুইজ, আলোচনা, বিতর্ক ও রচনা প্রতিযোগিতা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়ে তোলার লক্ষ্যে ১০টি বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণের ঘোষণার মাধ্যমে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। ১০টি বিশেষ উদ্যোগ হচ্ছে- একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প, আশ্রয়ণ প্রকল্প, ডিজিটাল বাংলাদেশ, শিক্ষা সহায়তা কর্মসূচি, নারীর ক্ষমতায়ন কর্মসূচি, সবার জন্য বিদ্যুৎ, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি, কমিউনিটি ক্লিনিক ও মানসিক স্বাস্থ্য, বিনিয়োগ উন্নয়ন ও পরিবেশ সংরক্ষণ। মেলায় এ বিষয়গুলোর ওপর বিশেষ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হবে। মেলার কার্যক্রম সবার কাছে পৌঁছে দিতে জাতীয় তথ্য বাতায়নের (bangladesh.gov.bd) মাধ্যমেও প্রচারের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। রাইজিংবিডি/ঢাকা/৮ জানুয়ারি ২০১৮/হাসান/মুশফিক