জাতীয়

‘দূষণরোধের মাধ্যমে ঢাকার চারপাশের নদী বাঁচাতে হবে’

সচিবালয় প্রতিবেদক : চারপাশের নদী ঢাকা শহরের প্রাণ। নাব্যতা বৃদ্ধি ও দূষণরোধের মাধ্যমে এ নদীসমূহকে বাঁচিয়ে তুলতে হবে। রোববার স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীসহ ঢাকার চারপাশের নদীগুলোর দূষণরোধ এবং নাব্যতা বৃদ্ধির জন্য মাস্টার প্ল্যান তৈরি সংক্রান্ত কমিটির এক সভায় সভাপতিত্বকালে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন এসব কথা বলেন। সভায় পানিসম্পদমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাসিরসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভায় খন্দকার মোশাররফ হোসেন আরো বলেন, লন্ডনের টেমস নদী এক সময় বুড়িগঙ্গার চেয়ে বেশি দূষিত ছিল। টেমস নদীর পাশাপাশি ইউরোপের অনেক নদী দূষণমুক্ত করা হয়েছে। আমরাও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার মাধ্যমে বুড়িগঙ্গা, ধলেশ্বরী, বালু, তুরাগ ও চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীকে দূষণমুক্ত করতে পারব। স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, নদী দূষণের অন্যতম উৎস শিল্পবর্জ্য ইটিপির মাধ্যমে রিসাইকেল করতে হবে। এছাড়া দূষণের জন্য দায়ী পদার্থ যাতে সরাসরি পানিতে মিশতে না পারে সে ব্যবস্থা করতে হবে। বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পানি জমে সৃষ্ট জলজটের কারণে নগরবাসী অবর্ণনীয় দুর্দশার সম্মুখীন হয়। বৃষ্টির পানি যাতে দুই থেকে তিন ঘণ্টার মধ্যে অপসারিত হয় সে লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থার সমন্বয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বলেন, বুড়িগঙ্গা, ধলেশ্বরী, বালু, তুরাগ ও চট্টগ্রামের কর্ণফুলী- এ পাঁচটি নদীদূষণের হাত থেকে রক্ষার পাশাপাশি ঢাকা শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে যাতে বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পানি দীর্ঘক্ষণ জমে না থাকে সেজন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৮ জানুয়ারি ২০১৮/হাসান/রফিক