জাতীয়

এনবিআরের সিদ্ধান্ত গ্রহণ সভায় নেই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়!

নিজস্ব প্রতিবেদক : সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণীর আইনানুগ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সিগারেটের প্যাকেটে স্ট্যাম্প ও ব্যান্ডরোল ব্যবহারসংক্রান্ত জটিলতা নিরসনে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআর আগামী মঙ্গলবার ২০ ফেব্রুয়ারি একটি সভার আয়োজন করেছে। সভায় অংশগ্রহণের জন্য দি সিকিউরিটি প্রিন্টিং করপোরেশন (বাংলাদেশ) লিঃ এবং বাংলাদেশ সিগারেট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিসিএমএ) এর প্রতিনিধি উপস্থিত থাকার কথা বলা হলেও ডাকা হয়নি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কিংবা এর অধীনস্ত জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলকে। অথচ সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী বাস্তবায়নে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ই প্রধান অংশীদার। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে পাশ কাটানোর এই প্রচেষ্টা তামাকবিরোধীদের মনে নতুন শঙ্কার সৃষ্টি করেছে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তামাক বিরোধী সংগঠনগুলো এ শঙ্কার কথা জানিয়েছে। তামাকবিরোধীদের মতে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী বাস্তবায়নে শেষ পর্যন্ত তামাক কোম্পানির পরামর্শই চূড়ান্তভাবে গৃহীত হতে পারে। উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী তামাক পণ্যের প্যাকেটের উপরিভাগে মুদ্রণ বাধ্যতামূলক মর্মে জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল (এনটিসিসি) গণবিজ্ঞপ্তি জারি করলেও বিসিএমএ কর্তৃক রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট গণবিজ্ঞপ্তিটির কার্যকারিতা প্রথমে তিন মাস এবং পরবর্তীকালে ২০১৭ সালের নভেম্বরে আরো ছয় মাসের জন্য স্থগিত ঘোষণা করে। এর পাশাপাশি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ২০১৭ সালের ২৪ আগস্ট এক পত্রের মাধ্যমে সিগারেট উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের সুবিধার্থে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে উক্ত গণবিজ্ঞপ্তির কার্যকারিতা এক বছরের জন্য স্থগিত রাখার অনুরোধ জানায়। বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, ‍তামাকের বিরূপ প্রভাব উপলব্ধি করে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশকে ২০৪০ সালের পূর্বেই তামাকমুক্ত করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন। আইন অনুযায়ী সঠিক পন্থায় দেশে তামাকজাত পণ্যের মোড়কে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণীর বাস্তবায়ন না হলে ভবিষ্যৎ তরুণ প্রজন্মকে তামাকের ছোবল থেকে রক্ষা করা যাবে না। রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮/সাওন/সাইফুল