নিজস্ব প্রতিবেদক : ভূ-উপরিভাগের মাটি রক্ষার জন্য পোড়া ইটের বিকল্প হিসেবে থারমাল ব্লক, হলো ব্লক ইত্যাদির ব্যবহার গণপূর্ত নীতিমালায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। মঙ্গলবার হাউজিং অ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট (এইচবিআরআই) উদ্ভাবিত নির্মাণসামগ্রী ও প্রযুক্তি প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ কথা জানান। রাজধানীর কল্যাণপুরে দারুস সালাম রোডের এইচবিআরআইর প্রদর্শনী হলে আজ থেকে এই নির্মাণসামগ্রী ও প্রযুক্তি প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। প্রদর্শনীতে পোড়া ইটের বিকল্প হিসেবে থারমাল ব্লক, হলো ব্লক, ফেরোসিমেন্ট ইত্যাদির মাধ্যমে ভবন নির্মাণ এবং এ সংক্রান্ত প্রযুক্তি প্রদর্শন করা হচ্ছে। এ উপলক্ষে ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী আরো বলেন, পোড়ামাটির ইট ব্যবহার বন্ধ করা না হলে ভবিষ্যতে দেশ খাদ্যসংকটে পড়বে। পোড়ামাটির ইটের চেয়ে হলো ব্লক বা থার্মাল ব্লক অনেক সাশ্রয়ী। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অনুযায়ী ২০২০ সালের মধ্যে পোড়া ইটের ব্যবহার সম্পূর্ণ বন্ধ করার কথা রয়েছে। সরকার সে লক্ষ্য অর্জনে কাজ করে যাচ্ছে। মোশাররফ হোসেন বলেন, বর্তমান সরকার সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। এজন্য কৃষিজমি সুরক্ষা করারও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা আইনে কৃষিজমি সুরক্ষার বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে আইনটি ভেটিং-এ রয়েছে। শিগগিরই এ আইন সংসদে তোলা হবে। বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন বলেন, ভারতে ভূপৃষ্ঠের উপরিভাগের মাটি দিয়ে ইট তৈরি বন্ধ করা হয়েছে। এজন্য বাংলাদেশ থেকে ভারতে ইট রপ্তানি হচ্ছে। ভিয়েতনামে শতকরা ৩০ ভাগ হলো ব্লক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এইচবিআরআইর পরিচালক মোহাম্মদ আবু সাদেক। প্রদর্শনীতে মোট ৩০টি স্টল রয়েছে। প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সর্বসাধারণের জন্য প্রদর্শনী খোলা থাকবে। এ প্রদর্শনী চলবে ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। রাইজিংবিডি/ঢাকা/২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮/হাসান/রফিক