জাতীয়

‘ছাত্রলীগকে বাঁচাতেই চিকিৎসকের দুর্বল প্রতিবেদন’

ঢাকা, ০৫ জানুয়ারি (রাইজিংবিডি টোয়েন্টিফোর ডটকম): ছাত্রলীগকে বাঁচাতেই ময়নাতদন্তকারী সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক বিশ্বজিত দাসের লাশের ময়নাতদন্তের দুর্বল প্রতিবেদন তৈরী করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিশ্বজিতের বাবা-মা। কারণ হিসেবে তারা বলছেন দুর্বল ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন দিলে অপরাধীদের শাস্তি কম হবে।  শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে বিশ্বজিতের বাবা অনন্ত চন্দ্র দাস সাংবাদিকদের বলেন, বিশ্বজিতকে ছাত্রলীগ কর্মীরা অসংখ্য ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছে অথচ ডাক্তারের ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে একটি কোপের চিহ্ন পাওয়া গেছে বলে তারা উল্লেখ করেছেন।তিনি বলেন, খুনীদের শাস্তি কমাতে এবং উপযুক্ত শাস্তি পাওয়া থেকে রক্ষা করতেই ডাক্তার এমন দুর্বল প্রতিবেদন তৈরী করেছেন। বিশ্বজিত খুনের বিচারে নির্দোষ কাউকে যেন শাস্তি না দেয়া হয় সে কথাও তিনি বলেন সংবাদ সম্মেলনে।সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত নিহত বিশ্বজিতের মা কল্পনা রাণী দাস বলেন, আমার বিশ্বজিতকে যারা মেরেছে আমি তাদের উপযুক্ত বিচার চাই। আমার মতো যেন আর কোন মায়ের বুক খালি না হয় সেই ব্যবস্থাই করতে হবে বিশ্বজিতের বিচারের মধ্য দিয়ে।ডাক্তারের দেয়া ময়নাতদন্তকে প্রত্যাখান করে বিশ্বজিতের বড় ভাই উত্তম কুমার দাস নতুন করে ময়নাতদন্ত করার আহ্বান জানান সাংবাদ সম্মেলনে।বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। সংগঠনের মহাসচিব গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক এতে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান।লিখিত বক্তব্যে বিশ্বজিত হত্যার ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন দেয়া চিকিৎসক ও সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুতকারী সূত্রাপুর থানার এসআইয়ের গ্রেফতার দাবি করেন তিনি। তিনি সরকারের কাছে বিশ্বজিতের পরিবারকে এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি করেন।গোবিন্দ বলেন, আমরা পত্রিকার মাধ্যমে জানতে পেরেছি বিশ্বজিতের শরীরে পঁচিশটি কোপের দাগ রয়েছে। অথচ ডাক্তারদের রিপোর্টে একটি কোপের দাগের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।এর আগে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎসক মাকসুদুর রহমান তার বক্তব্যে বিশ্বজিতের পিঠে, ডান হাতের নিচে ও বাম পায়ে তিনটি কোপের দাগ রয়েছে এমন দাবী করেছেন বলেও জানান তিনি।উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের অবরোধ চলাকালে পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্কের কাছে টেইলার্স ব্যবসায়ী বিশ্বজিতকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।