জাতীয়

ত্রাণমন্ত্রীর সঙ্গে ভারতীয় হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার সঙ্গে দেখা করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা। রোববার সচিবালয়ে মন্ত্রীর সঙ্গে তার অফিসে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ভারতীয় হাইকমিশনার। এ সময় রোহিঙ্গা প্রসঙ্গে আলোচনা হয়। মন্ত্রী হাইকমিশনারকে অবহিত করেন, বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড়ের মৌসুম আগত। ঘূর্ণিঝড়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রথমদিকে নির্মিত ও পাহাড়ের ঢালে নির্মিত শেল্টারগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এজন্য প্রায় ২৫ হাজার পরিবার অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া প্রয়োজন। ঘূর্ণিঝড় সহনশীল নতুন শেল্টার নির্মাণে ভারতের সহযোগিতা চান মন্ত্রী। আগামী বর্ষাকে সামনে রেখে ক্যাম্পের মহিলা ও শিশুদের জন্য খাদ্য, শুকনো খাবার, গামবুট, রেইনকোট ইত্যাদি সহায়তা কামনা করেন। বিশেষ করে ৩০ হাজার গর্ভবতী নারীর জন্য ডেলিভারি সামগ্রী জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজন বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন। এ সময় তিনি ভারতীয় হাইকমিশনারকে অবহিত করেন, রোহিঙ্গারা জ্বালানির জন্য পাহাড়ি এলাকার গাছপালা কেটে উজাড় করে ফেলেছে। জরুরি ভিত্তিতে জ্বালানির সংস্থান না হলে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বর্ষাকালে রান্নার ক্ষেত্রে চরম সংকট তৈরি হবে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বর্ণিত বিষয়গুলো খুবই মানবিক উল্লেখ করে ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ অসাধারণ ভূমিকা পালন করেছে। শিশুখাদ্য, জ্বালানি, শুকনো খাবার, গামবুট, রেইনকোট প্রদান ও নতুন তাবু নির্মাণে ভারত সহযোগিতা করবে। এ সময় ত্রাণমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের মানবিক কারণে বাংলাদেশ আশ্রয় দিয়েছে। এদের ফিরিয়ে নিতে ভারতের অব্যাহত ও অধিকতর চাপ প্রয়োগের জন্য হাইকমিশনারকে অনুরোধ করেন মন্ত্রী। ভারত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশের পাশে থাকবে বলে আশ্বস্ত করেন হাইকমিশনার। সৌজন্য সাক্ষাৎকালে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. রিয়াজ আহমেদ, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মোহসীন, রোহিঙ্গা ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. আবুল কালাম উপস্থিত ছিলেন। রাইজিংবিডি/ঢাকা/৪ মার্চ ২০১৮/নঈমুদ্দীন/রফিক