জাতীয়

‘প্রতি উপজেলায় টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ করা হবে’

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের প্রত্যেক উপজেলায় একটি করে টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলী। বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে ‘স্কিলস অ্যান্ড ট্রেনিং অ্যানহ্যান্সমেন্ট প্রোগ্রামের (স্টেপ) অগ্রগতি’ বিষয়ক এক সেমিনারে তিনি এ কথা জানান। সেমিনারে কাজী কেরামত আলী বলেন, দেশের উন্নয়ন ও দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টিতে কারিগরি শিক্ষা গুরুত্বপূর্ণ। দেশের প্রত্যেক উপজেলায় একটি করে টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হবে। ইতোমধ্যে ১০০টি উপজেলায় একটি করে টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রতিষ্ঠার কাজ আমরা শুরু করেছি। বাকি ৩৮৯টি উপজেলাতেও খুব শিগগিরই শুরু হবে। সময়োপযোগী এ শিক্ষাকে এগিয়ে নিতে নিষ্ঠা, সততা ও কর্মদক্ষতার মাধ্যমে শিক্ষকদের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে হবে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, কারিগরি শিক্ষার উন্নয়নে শুধু সরকারি কার্যক্রমই নয়, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকেও সহযোগিতা করতে হবে। যাতে শিক্ষার্থীরা এসব  প্রতিষ্ঠান থেকে নানা সুযোগ-সুবিধা পেয়ে নিজেদের দক্ষ ও যোগ্য করে গড়ে তুলতে পারে। তিনি আরো বলেন, সরকার কারিগরি শিক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে নারীর ক্ষমতায়ন ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ এবং শতভাগ বৃত্তি দিচ্ছে। পাশাপাশি ছেলেদেরও কারিগরি বৃত্তি সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। ফলে কারিগরি শিক্ষা নিতে এখন অনেকেই উৎসাহী। কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলমগীরের সভাপতিত্বে সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অশোক কুমার বিশ্বাস, বগুড়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ শাহাদাৎ হোসেন, ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ রেবেকা ইয়াসমিন প্রমুখ। সেমিনারে দেশের ১১৯টি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ও টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ উপস্থিত ছিলেন। সেমিনারে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অশোক কুমার বিশ্বাস সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের কার্যক্রম নিয়ে উপস্থাপিত প্রতিবেদনে জানান. ১২৫টি কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৬৪ হাজার ১৭৮ জনকে বৃত্তি এবং ৯২ হাজার ১২৮ জনকে সরকারি উপবৃত্তি দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে শতভাগ নারী শিক্ষার্থী উপবৃত্তির সুফলভোগী হয়েছে। ২০১৭ সালে ৩০৭ জন ডিপ্লোমা পর্যায়ের শিক্ষার্থী স্কলারশিপ পেয়েছেন। এর অধীনে চলতি বছরে আরো ১ হাজার শিক্ষার্থীকে চীনে পাঠানোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, কারিগরি শিক্ষাকে জনপ্রিয় করতে মাস্টার্স/পিএইচডি পর্যায়ে স্কলারশিপ দেওয়ার পাশাপাশি স্টুডেন্ট এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামের উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে। অদক্ষ, আধা দক্ষদের প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিতে কাজ করে যাচ্ছে এ অধিদপ্তর। সে অনুযায়ী এলাকাভিত্তিক সুবিধাবঞ্চিত যুবকদের বিনামূল্যে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে নানা ধরণের কর্মসংস্থানের। প্রতিবেদনে দেশের প্রতিটি বিভাগে একটি করে মহিলা টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ স্থাপন এবং চলতি বছরে ১০ হাজার ব্যক্তিকে কারিগরি প্রশিক্ষণ দেওয়ার পরিকল্পনার কথা বলা হয়। রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৪ মার্চ ২০১৮/হাসান/রফিক