জাতীয়

নেপালে বিমান বিধ্বস্ত : শাহরিন ভালো আছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : নেপালে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় আহত শাহরিন আহমেদ আপাতত (২৯) ভালো আছেন। প্রথমে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিউতে রাখা হয়েছে। পরে রাত ৮টার দিকে শাহরিনকে আইসিইউ থেকে ভিআইপি কেবিনের ২ নম্বর বেডে স্থানান্তার করা হয়েছে। এর আগে তার দুই পায়ে ড্রেসিং করা হয়। শাহরিনের দুই পায়ের সাত শতাংশ পুড়ে গেছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে তাকে কী ধরনের চিকিৎসা দেওয়া হবে। বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন। এ সময় তার সাথে ছিলেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন, বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ডা. সাজ্জাদ খোন্দকার, প্রধানমন্ত্রীর সহকারী সিনিয়র সচিব ফয়েজ আহমেদ ও শাহরিনের ভাই সরফরাজ আহমেদ। শাহরিনের বাবা অবসরপ্রাপ্ত মেজর সাইফুদ্দিন আহম্মেদ। তার মায়ের নাম ফেরদৌসী মোস্তাক। তার ভাই জানান, শাহরিন বিমানের পিছনের দিকে বসা ছিলেন। বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা ৪ মিনিটে তাকে ঢামেক হাসপাতালে আনা হয়। মুঠোফোনে সামন্ত লাল সেন রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘আমরা শাহরিনের চার থেকে পাঁচটি পরীক্ষা করতে দিয়েছি। আশা করি দুই-একদিনের মধ্যে রিপোর্ট যাওয়া যাবে। তখন পরবর্তী করণীয় বিষয়ে ঠিক করা হবে। যদি মেডিক্যাল টিম গঠন করার প্রয়োজন পড়ে তখন মেডিক্যাল টিম গঠন করা হবে। তবে আমি তাকে দেখে এসেছি। এটুকু বলব, সে ভালো আছে।’ কাঠমান্ডু থেকে শাহরিনকে বহনকারী বিমানের একটি ফ্লাইট বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা ৪৮ মিনিটে হজরত শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণ করে।  শাহরিনকে নিয়ে যেতে আগে থেকেই সেখানে অপেক্ষা করছিল অ্যাম্বুলেন্স। ৪টা ১৫ মিনিটের দিকে বিমানবন্দর থেকে তাকে বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স বের হয়। শাহরিন আহমেদ ঢাকায় পৌঁছার আগেই বিমানবন্দরে অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা হয়। দুজন নার্সও ছিলেন অ্যাম্বুলেন্সের সঙ্গে। সুমন কুমার সরকার ও সুমনা খানম এই দুজনই ঢামেক হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স। বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে শাহরিন ঢাকায় আনা হয়। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক শাকিল মেরাজ জানান, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে (বিজি ০৭২) নেপাল থেকে শাহরিনকে নিয়ে আসা হয়। তার সঙ্গে তার দুই ভাই ছিলেন। তিনি পায়ে আঘাত পেয়েছেন। সোমবার নেপালের ত্রিভুবন বিমানবন্দরে ইউএস বাংলার একটি বিমান ৬৭ যাত্রী ও চারজন ক্রু নিয়ে বিধ্বস্ত হয়। এতে ৫০ জন নিহত হন। এর মধ্যে ২৬ জন বাংলাদেশি। রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৫ মার্চ ২০১৮/আরিফ সাওন/সাইফুল